নারী বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আগে ব্যাট করা ক্যারিবীয়ানদের ১৪০ রানের বেশি করতে দেননি সালমা খাতুনরা। জবাব দিতে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ ওভারে গিয়ে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলের শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৯ রানের। এ সময় জাহানারাকে (৮) আউট করে দেন টেইলর। এরপর ফারিহাকে নিয়ে এগিয়ে যান নাহিদা। শেষ ২ ওভারে দরকার ১১ রানের। ৪৯তম ওভারে ৫ রান নিলে জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে দরকার মাত্র ৬ রানের। কিন্তু নাহিদাকে আর সঙ্গ দিতে পারেননি ফারিহা। ৩ বল বাকি থাকতে আউট হয়ে যান তিনি। ফলে ৪৯.৩ ওভারে ১৩৬ রানে থেমে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৬৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন নাহিদা আক্তার।

১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলে ডাক মারলেন শামীমা সুলতানা। হ্যালি ম্যাথিউসের শিকার হন তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ রানের জুটি গড়েন শারমিন আক্তার সুপ্তা ও ফারজানা হক পিংকি। ইনিংসের নবম ওভারে ম্যাথুজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সুপ্তা। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১৭ রান। ৩০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে জুটি  গড়েন ফারজানা ও জ্যোতি। কিন্তু তাদের জুটি ৩০ রানের বেশি হয়নি। ৬৫ বলে ২৩ রানে আউট গত দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা ফারজানা।

এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। রুমানা আহমেদ, রিতু মনি রানের খাতা খোলার হাতেই ফেরেন সাজঘরে। এই ফ্লেচার তার পরের ওভারে টানা দুটি উইকেট নেন। রুমানা আহমেদকে কট বিহাইন্ড ও রিতু মনিকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। সালমা খাতুনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ছিলেন নিগার। ২৫ রান করে তিনি ম্যাথিউসের শিকার। ‍দুই বল পর ফাহিমা খাতুনও ডাক মারেন।

এরপরেও বাংলাদেশের জয়ের আশা জাগিয়ে রাখেন সাবেক অধিনায়ক সালমা, সঙ্গে ছিলেন নাহিদা আক্তার। জয় থেকে ৩১ রান দূরে থাকতে আউট হন সালমা। কারিশমা রামহারাককে ক্যাচ দেন তিনি স্টেফানি টেলরের বলে। ২৩ রান করেন সালমা। শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ৮ রান। টেলরের প্রথম বলে নাহিদা ডাবল নেন, দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল। তৃষ্ণা তৃতীয় বলে হন বোল্ড। ৪৯.৩ ওভারে ১৩৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ।

উইন্ডিজের হেইলে ম্যাথুস ১৫ রানে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। এছাড়া ৩টি করে উইকেট গেছে ফ্লেচার ও স্টাফানি টেইলরের ঝুলিতে।

এর আগে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খাবি খেয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররাও। দুই ওপেনার ডেয়ান্ড্রা ডটিন (১৭) ও ম্যাথুস (১৮) -এর পর দুই অংকের দেখা পেয়েছেন কেবল শেমাইনে ক্যাম্পবেলে (৫৩) ও ফ্লেচার (১৭)। মূলত ক্যাম্পবেলের ওই ফিফটিই তাদের দেড়শর কাছাকাছি সংগ্রহ এনে দেয়। বল হাতে বাংলাদেশের সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার ২টি করে এবং জাহানারা, রুমানা ও রিতু ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু বল হাতে পাওয়া এই সাফল্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মুছে গেল। ফলে ৪ ম্যাচে তৃতীয় হার দেখল বাংলাদেশ। যা তাদের পয়েন্ট টেবিলের সাতেই আটকে রাখলো। অন্যদিকে উইন্ডিজের মেয়েরা ৫ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে উঠে এলো পয়েন্ট টেবিলের তিনে।