- খেলা
- তিন ফিফটিতে তিনশ’ ছাড়ানো পুঁজি টাইগারদের
তিন ফিফটিতে তিনশ’ ছাড়ানো পুঁজি টাইগারদের

ছবি: এএফপি
সাম্প্রতিক সময়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের তরতাজা স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্মৃতিগুলো দুঃসহ। পাঁচ বছর আগের সফরে ২৭৮ রান করেও ১০ উইকেটে হেরেছিল মাশরাফির দল। সেই সব গল্প বদলের সংকল্প নিয়ে যাওয়া সফরে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
সুপার স্পোর্টস পার্কে পরে ব্যাট করা সহজ। টস জিতে তামিম ইকবালদের ব্যাটিংয়ে পাঠাতে ভাবতে হয়নি প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার। মেঘ জমা সেঞ্চুরিয়ানের দুপুরে সাবধানী ব্যাট করে ৯৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এরপর আন্দালি ফেলুকাও-এর ডিপ করা শট বলে বাঁ-হাতি ওপেনার তামিম ফেরেন ৬৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান করে।
এরপরই ফিরে যান অন্য ওপেনার লিটন দাস। ডানহাতি এই ওপেনার ৬৭ বলে ৫০ রান করেন। কেশব মহারাজের নিচু হয়ে আসা বলে ব্যাকফুটে শট খেলতে গিয়ে ফেরেন পাঁচটি চার ও একটি ছক্কার মার দেখিয়ে। এরপরই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম (৯)। ভালো শুরু করা বাংলাদেশ ২৯ রানে পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়।
দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করে ওই চাপ সামাল দেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির রাব্বি। একের পর এক বিতর্ক ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়া বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার খেলেন ৬৪ বলে ৭৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। সাতটি চারের মার দেখান। তিনটি ছক্কায় যেন সব বিতর্ক মাঠের বাইরে আছড়ে ফেলেন। ইয়াসিরের সঙ্গে তিনি গড়েন ১১৫ রানের জুটি।
সাকিবের পরেই ফিরে যান ডানহাতি ইয়াসির। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া এই তরুণ ৪৪ বলে ৫০ রান করেন। চারটি চার ও দুই ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন। পরে আফিফ হোসেন ১৩ বলে এক চার ও এক ছয়ে ১৭ ও মাহমুদুল্লাহ ১৭ বলে এক ছয় ও এক চারে ২৫ রান করেন। মেহেদি মিরাজ ১৩ বলে দুই ছক্কায় ১৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো জানসেন ও কেশব মহারাজ। স্পিনার মহারাজ ১০ ওভারে ৫৬ ও দীর্ঘদেহি বাঁ-হাতি পেসার জানসেন দেন ৫৭ রান। একটি করে উইকেট নেন কাগিসু রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও আন্দালি ফেলুকাও। এর মধ্যে ফেলুকাও ১০ ওভারে দেন ৬৩ রান। রাবাদা ১০ ওভারে ৫৭ ও এনগিডি ১০ ওভারে ৭৫ রান খরচ করেছেন।
মন্তব্য করুন