ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাদা বলের সিরিজে না থাকলেও ওই হার দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক ডিন এলগারের হৃদয়ে সুচের মতো ফুঁটেছে। টেস্ট সিরিজে ওই হারের শোধ নিতে চান তিনি। তবে প্রোটিয়া ওপেনারের মাথায় রাখতে হচ্ছে, বাংলাদেশ দল আগের সেই জায়গায় পড়ে নেই।

নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে টেস্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আইপিএলের কারণে পেস আক্রমণে শক্তি খয়ে যাওয়া প্রোটিয়া শিবিরে এবার দাঁত বসাতে মুখিয়ে আছে টিম টাইগার্স।

ডিন এলগার সতীর্থদের সেটাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘এটা আর সেই পুরনো বাংলাদেশ দল নয়। পশ্চিমা কোচিং স্টাফ নিয়ে এটা নতুন এক দল। যাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। কোচিং স্টাফরা দক্ষিণ আফ্রিকায় কীভাবে খেলতে হয় ওই বিষয়ে অনেক ধারণা দিয়েছে তাদের।’

বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। প্রোটিয়া এই কোচ এলগারদের কোচিং করিয়েছেন। টাইগার শিবিরে বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন কিংবদন্তি পেসার অ্যালান ডোনাল্ড। ব্যাটিং কোচ হিসেবে আছেন জেমি সিডন্সের মতো অভিজ্ঞ একজন। তাদের পরামর্শে বাংলাদেশ দল বদলে গেছে বলে মনে করেন ডিন এলগার।

আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মন্ত্র জপছে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে তরুণ পেস আক্রমণ নিয়ে নামতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে ডিন এলগার জানিয়েছেন, সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলে তার মনে হয়েছে ওরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত, ‘রাবাদা-এনগিডিরা বিপদে ফেলে গেছে, এটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে যারা এসেছে ওদের নিয়েই আমি স্বাচ্ছন্দ্য। ওদের সঙ্গে কথা হয়েছে, যে উত্তর ওরা দিয়েছে তাতে আমি খুবই খুশি।’

সোমবার ডারবানে প্রথমদিন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। উইকেট দেখে বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, উইকেটে খুব বেশি পেস-বাউন্স থাকবে না। শেষ দিকে স্পিন ধরবে। তবে ডিন এলগার বললেন ভিন্ন কথা, ‘আশা করছি ঘাসের উইকেট হবে এবং শেষদিন পর্যন্ত ঘাস থাকবে।’ উইকেট-কন্ডিশন যেমনই হোক, চ্যালেঞ্জ নিতে নিশ্চয় তামিম-মুমিনুল, তাসকিন-এবাদতরা প্রস্তুত।