শেষ পর্যন্ত আতিথেয়তা দেক বা না দেক, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) অন্তত কিছুটা সম্মান দেখায় বিসিবিকে। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক না হলেও বাংলাদেশ দলকে টেস্ট খেলতে অন্তত আমন্ত্রণ জানাতে রাজি হয় সিএ। এবার যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ২০২৭ সালে বাংলাদেশকে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে ডাকবে তারা। বাংলাদেশে খেলবে ২০২৬ সালে।

২০১৭ সালের এফটিপিতে অনুরূপ প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, যা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। যে কারণে বাংলাদেশের একটি প্রজন্মকে (সাকিব আল হাসানদের) অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট না খেলেই ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে হবে। প্রতিশ্রুতি ভাঙার সস্তার এই বাজারে ২৪ বছর পর বাংলাদেশের আরেকটি প্রজন্ম অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে, সে নিশ্চয়তাও নেই। তবুও মন্দের ভালো সিএ কথা না রাখলেও আশা দেখায়।

উন্নাসিক ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাও করে না। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের এফটিপিতে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলার কোনো প্রতিশ্রুতিই যে পায়নি বাংলাদেশ।

আইসিসির সাম্প্রতিক সভায় এফটিপি নিয়ে আলোচনা হয়। ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ৪২টির মতো টেস্ট সূচিভুক্ত করতে পেরেছে বিসিবি। আলোচনা ফলপ্রসূ করা গেলে আরও কিছু ম্যাচ বাড়তেও পারে।

বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, পরবর্তী স্লটে ৭৬টির মতো ওয়ানডে এবং ৭০টির মতো টি২০ ম্যাচ দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ। তিনি বলেন, 'আইসিসি এবং এসিসি ইভেন্ট ছাড়াই এই ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সব বোর্ডের সঙ্গেই কথাবার্তা চলছে। সিরিজগুলো চূড়ান্ত হলেই এফটিপিতে আপলোড হবে।'

বিসিবির এই পরিচালক আরও জানান, রেভিনিউ বাড়াতে ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়েও কাজ করতে চান তারা। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৩৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। করোনার কারণে ২০২০ সালে কিছু টেস্ট ম্যাচ বাতিল হয়েছে। তবে চার বছর মেয়াদে ৪২টি টেস্ট ম্যাচ আগে কখনও খেলেনি বাংলাদেশ। সেদিক থেকে ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের সম্ভাব্য এফটিপি কার্যকর করা গেলে টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচ খেলার দিক থেকে বড় অর্জন হবে টাইগারদের।

জাতীয় দলের পাশাপাশি 'এ' দল, এইচপি এবং একাডেমি দলের সিরিজ নিয়েও সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান জালাল, 'এইচপি', 'এ' দল, একাডেমি দলের সিরিজের চেষ্টা হচ্ছে। সব দেশের সঙ্গেই কথাবার্তা হচ্ছে।

ভারতে না হলেও পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের আঞ্চলিক এবং 'এ' দলের সঙ্গে সিরিজ থাকবে আশা করি। সব সময় 'এ' দল পাঠাব না। এইচপি যাতে বিদেশে খেলতে পারে সে চেষ্টা করা হচ্ছে।' জাতীয় দলের বাইরে 'এ' দল এবং এইচপির সিরিজ নিয়ে কাজ করা বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দারুণ এক উদ্যোগই বলতে হবে। কোনো সন্দেহ নেই এই জায়গায় ফোকাস দিলে জাতীয় দলের পাইপলাইন শক্তিশালী হবে।