- খেলা
- প্রমাণ করতে পারলে আমার বাবার মরণোত্তর ফাঁসি চাইব: আসিফ
প্রমাণ করতে পারলে আমার বাবার মরণোত্তর ফাঁসি চাইব: আসিফ

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবন মানেই বিতর্ক, রোমাঞ্চকর উত্থান-পতনের গল্প। সেসব গল্প অনেক ফিকশনকেও হার মানায়। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আসিফের উত্থান, রাজনীতির মঞ্চে আবির্ভাব কিংবা মামলা মাথায় নিয়ে হাজতবাস- এ সবই যেন আসিফ আকবরের বর্ণিল জীবনকে প্রকাশ করে। বর্ণিল এই জীবন এবার উঠে এলো বইয়ে। ‘আকবর ফিফটি নটআউট’ নামে বইটিতে থাকবে সব কিছু।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি বাবার প্রসঙ্গ দিয়েই শুরু করেছেন বলে অনুষ্ঠানে জানান আসিফ।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাবাকে নিয়ে বিতর্কের অবসান চেয়েছেন আসিফ। বলেছেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কিছু লোক শুধু রাজনৈতিক কারণে আমাকে ছোট করার জন্য আমার বাবাকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে... আমাদের মিউজিকের কিছু লোক লিফলেট ছেড়েছে, ফেসবুকে বাজে কথা বলেছে। ফেসবুকে অনেকেই বলে আফিসের বাবা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন, রাজাকার ছিলেন।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের বাবার অবস্থান জানিয়ে আসিফ বলেছেন, ‘আমার বাবা কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, মুসলিম লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, রাজনীতি করাও নিষিদ্ধ নয়। দেশবিভাগ প্রশ্নে আমি দলের বাইরে যেতে পারিনি... দলে থেকে ১০০ প্লাস মুক্তিযোদ্ধাকে আমি কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে রক্ষা করেছি, যেখানে আমার বড় ভাই আতাউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা। মারা গেছেন কিছুদিন আগে, মামাতো ভাই... এমন আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে বের করে আমাদের বাসায় খাওয়াদাওয়া করিয়ে আগরতলায় ট্রেনিং ক্যাম্পে পাঠিয়েছেন।’
আসিফ দৃঢ় কণ্ঠে এটাও বলেছেন, ‘এই বিতর্ক শেষ করতে হবে, একজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তান হিসেবে বাঁচতে চাই না। যদি এখনও কেউ তদন্ত করে প্রমাণ করতে পারে আসিফ আকবরের বাবা যুদ্ধাপরাধী, আমি আমার বাবার মরণোত্তর ফাঁসি চাই।’
সাহস প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটি লিখেছেন সোহেল অটল।
বইটি প্রসঙ্গে আসিফ আরও জানিয়েছেন, ‘যারা সত্য পছন্দ করেন, তাঁদের ভালো লাগবে। যাঁরা লুকিয়ে দেখতে পছন্দ করেন ও গোপনে কাজ করেন, তাঁদের সমস্যা হবে।’
মন্তব্য করুন