- খেলা
- রিভার্স সুইপমুক্ত শুদ্ধ সেঞ্চুরি
ফার্স্ট বয় মুশফিক
রিভার্স সুইপমুক্ত শুদ্ধ সেঞ্চুরি
একটিও বাজে শট খেলতে দেখা যায়নি। ১৫ রান করতেই এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটে ৪৮টি বল লেগেছে মুশফিকের
-samakal-6285c7415a9b9.jpg)
বাংলাদেশ দলের দুটি সেঞ্চুরির পর দু'রকম উদযাপন হলো। সাদামাটা উদযাপন তামিম ইকবালের। মুশফিকুর রহিমের উদযাপন রক্ত চঞ্চল করা। বাহু ঝাঁকিয়ে যেন সমালোচকদের জবাব দিলেন, ক্রিকেটীয় নিয়ম মেনে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন ড্রেসিংরুমের দিকে, সিজদাহ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। রিভার্স সুইপ খেলা নিয়ে গত কিছুদিন যত সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাঁকে, তাতে করে চাপ মুক্তির সেঞ্চুরি উদযাপনের ভাষা খ্যাপাটে হওয়া দোষের নয়। বরং সাত ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৮২ বল মোকাবিলায় একটিও রিভার্স সুইপ না খেলা প্রশংসায় ভাসাচ্ছে তাঁকে। এই বদলে যাওয়া মানসিকতার কারণেই ১৮ ইনিংস পর দেখা পেলেন তিন অঙ্কের রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ১০৫ রানের ইনিংসে মিলেমিশে ছিল পরিণত ব্যাটিংয়ের ছাপ। যে ব্যাটিং তাঁকে পৌঁছে দেয় পাঁচহাজারি ক্লাবের মাইলফলকে। টেস্টে পাঁচ হাজার রান করা দেশের প্রথম ক্রিকেটার তিনি।
শীর্ষে থেকেই চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করেন মুশফিক। ৮০ টেস্টে ৪ হাজার ৯৩২ রান ছিল তাঁর। সেখান থেকে ৮১তম টেস্ট খেলতে নেমে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেন তৃতীয় দিন। গতকাল ১৫ রান করলেই পৌঁছে যেতেন পাঁচহাজারি ক্লাবে। খুব ধীরে এবং ধরে খেলে লিটনের সঙ্গে জুটি এগিয়ে নেন বরফশীতল মস্তিস্কে। একটিও বাজে শট খেলতে দেখা যায়নি। এই ১৫ রান করতেই এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটে ৪৮টি বল লেগেছে তাঁর। মাইলফলকের দৌড়ে মুশফিকের প্রতিদ্বন্দ্বী তামিম ইকবাল। হাতে ক্র্যাম্প না হলে তামিমই হয়তো প্রথমে পাঁচ হাজার রান করতেন। গতকালও বাঁহাতি এ ওপেনারের সে সুযোগ ছিল। কিন্তু লাঞ্চের পর লিটন কুমার দাসের আউটের পর তিনিও বোল্ড আউট হন কোনো রান যোগ না করে। ফলে পাঁচ হাজার রান থেকে ১৯ রান দূরে থাকতে হলো তাঁকে। অপেক্ষা বাড়ল দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত। চট্টগ্রাম থেকেই পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক নিয়ে যেতে পারবেন হয়তো। নিজে না করতে পারলেও বন্ধুর মাইলফলকে খুশি তামিম। টেস্টে দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানও মুশফিক। তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা দেশের একমাত্র ক্রিকেটারও উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার। সেখানে নতুন করে যোগ হলো পাঁচ হাজার রানের রেকর্ড। চট্টগ্রাম টেস্টে পাওয়া এই অর্জন স্মরণীয় করে রাখতে ড্রেসিংরুমে কেক কেটে উদযাপন হলো। কেকের প্রথম টুকরো ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে খাইয়ে দিয়ে একটি লক্ষ্য বেঁধে দেন মুশফিক। জয়কে টেস্টে ১০ হাজার রান করতে বললেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকের এই সেঞ্চুরি ইনিংসটি সবচেয়ে মন্থর। সচরাচর এতটা ধীরস্থির দেখা যায় না তাঁকে। বোঝাই যায় দক্ষিণ আফ্রিকায় রিভার্স সুইপ খেলে সেশন বিরতির আগে আউট হওয়ার সমালোচনায় জর্জরিত ছিলেন তিনি। সেখান থেকে নিজেকে বের করে আনতে মনস্থির করে নেমেছিলেন। ১৩৪ বলে ৫৩ রান করা মুশফিকই গতকাল পরের ৫২ রান করেন ১৪৮ বলে। ৯৭ রান থেকে শতকে গেছেন বাউন্ডারি শটে। বরফশীতল মস্তিস্কে তাঁর খেলা ইনিংসটিতে বাউন্ডারি চারটি। এতেই পরিস্কার যে, কোনো মূল্যে একটি বড় ইনিংস খেলার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। ৩৫ বছর বয়সী এ ব্যাটারের আগের সেঞ্চুরি ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সে ম্যাচে। মাঝে নার্ভাস নাইনটিতে একবার আউট হলেও এবার মিস করেননি।
শীর্ষে থেকেই চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করেন মুশফিক। ৮০ টেস্টে ৪ হাজার ৯৩২ রান ছিল তাঁর। সেখান থেকে ৮১তম টেস্ট খেলতে নেমে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেন তৃতীয় দিন। গতকাল ১৫ রান করলেই পৌঁছে যেতেন পাঁচহাজারি ক্লাবে। খুব ধীরে এবং ধরে খেলে লিটনের সঙ্গে জুটি এগিয়ে নেন বরফশীতল মস্তিস্কে। একটিও বাজে শট খেলতে দেখা যায়নি। এই ১৫ রান করতেই এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটে ৪৮টি বল লেগেছে তাঁর। মাইলফলকের দৌড়ে মুশফিকের প্রতিদ্বন্দ্বী তামিম ইকবাল। হাতে ক্র্যাম্প না হলে তামিমই হয়তো প্রথমে পাঁচ হাজার রান করতেন। গতকালও বাঁহাতি এ ওপেনারের সে সুযোগ ছিল। কিন্তু লাঞ্চের পর লিটন কুমার দাসের আউটের পর তিনিও বোল্ড আউট হন কোনো রান যোগ না করে। ফলে পাঁচ হাজার রান থেকে ১৯ রান দূরে থাকতে হলো তাঁকে। অপেক্ষা বাড়ল দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত। চট্টগ্রাম থেকেই পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক নিয়ে যেতে পারবেন হয়তো। নিজে না করতে পারলেও বন্ধুর মাইলফলকে খুশি তামিম। টেস্টে দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানও মুশফিক। তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা দেশের একমাত্র ক্রিকেটারও উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার। সেখানে নতুন করে যোগ হলো পাঁচ হাজার রানের রেকর্ড। চট্টগ্রাম টেস্টে পাওয়া এই অর্জন স্মরণীয় করে রাখতে ড্রেসিংরুমে কেক কেটে উদযাপন হলো। কেকের প্রথম টুকরো ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে খাইয়ে দিয়ে একটি লক্ষ্য বেঁধে দেন মুশফিক। জয়কে টেস্টে ১০ হাজার রান করতে বললেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকের এই সেঞ্চুরি ইনিংসটি সবচেয়ে মন্থর। সচরাচর এতটা ধীরস্থির দেখা যায় না তাঁকে। বোঝাই যায় দক্ষিণ আফ্রিকায় রিভার্স সুইপ খেলে সেশন বিরতির আগে আউট হওয়ার সমালোচনায় জর্জরিত ছিলেন তিনি। সেখান থেকে নিজেকে বের করে আনতে মনস্থির করে নেমেছিলেন। ১৩৪ বলে ৫৩ রান করা মুশফিকই গতকাল পরের ৫২ রান করেন ১৪৮ বলে। ৯৭ রান থেকে শতকে গেছেন বাউন্ডারি শটে। বরফশীতল মস্তিস্কে তাঁর খেলা ইনিংসটিতে বাউন্ডারি চারটি। এতেই পরিস্কার যে, কোনো মূল্যে একটি বড় ইনিংস খেলার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। ৩৫ বছর বয়সী এ ব্যাটারের আগের সেঞ্চুরি ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সে ম্যাচে। মাঝে নার্ভাস নাইনটিতে একবার আউট হলেও এবার মিস করেননি।
মন্তব্য করুন