কিংস অ্যারেনায় সবুজ গালিচায় মঙ্গলবার বিকেলে জামাল ভূঁইয়ারা যখন অনুশীলনে মগ্ন, তখন ক্যাম্প থেকে বিতাড়িত হওয়া নাবীব নেওয়াজ জীবন হেঁটেছেন বাড়ির পথে। ইনজুরি কিংবা বাজে ফর্মের কারণে অতীতে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও জাতীয় দলের এ ফরোয়ার্ডের এবার বাদ পড়াটা ছিল অদ্ভুত। বিলম্বে ক্যাম্পে আসায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে দল থেকে বাদ দেন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। 

জীবনের বাদ পড়ার ঘটনার পর ফুটবল অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অতীতে অনেক ফুটবলারই নির্দিষ্ট তারিখে ক্যাম্পে যোগ না দিয়েও কোনো শাস্তির মুখে পড়েননি। ডিসিপ্লিনে ক্যাবরেরার জিরো টলারেন্সের কারণে 'সরি' বলেও দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি জীবন। কোচের এমন কঠিন সিদ্ধান্তের পর জাতীয় দলের ফুটবলারদের মনে আতঙ্ক কাজ করছে। অনেকের মতে, জীবনের এই শাস্তিটা বাকিদের জন্য একটা উদাহরণ। ভবিষ্যতে নিয়ম ভাঙার মতো কাজ করতে গেলে সবারই জীবনের পরিণতির কথা মনে পড়বে।

জীবনের মনে একটা দুঃখ, ক্যাম্প থেকে বাদ দেওয়ার পর সতীর্থরা কেউই তাকে ফোন কিংবা মেসেজ দিয়ে সান্ত্বনা দেননি। এর অর্থই হলো, জীবনের ইস্যুতে সবাই বেশ সতর্ক। ফোন এবং মেসেজ না দিয়ে সতীর্থরা নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে চেয়েছেন। 

অতীতে ক্যাম্প চলাকালীন কোচ কিংবা ম্যানেজারকে না জানিয়ে বান্ধবীর জন্মদিনে গিয়েছেন এক ফুটবলার। সেই সময় কোনো শাস্তি পেতে হয়নি তাকে। অথচ শৃঙ্গলা ভঙ্গে কঠোর হওয়ায় চাকরিও হারাতে হয়েছে সাবেক কোচ ডিডোকে। ২০০৯ সালে শৃঙ্খলায় কঠোরতার কারণে বাফুফের সঙ্গে তার দূরত্ব হয়েছিল। ওই দূরত্বের রেশ ধরেই তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় ফুটবল ফেডারেশন; যা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। পূর্বে শৃঙ্খলা ভেঙে রেহাই পেলেও নতুন কোচ ক্যাবরেরা এসে যেন পাল্টে দিতে চাচ্ছেন সবকিছু।