চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে পেসাররা ভালো বোলিং করতে পারেননি বলে মনে করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম চারটি ব্রেক থ্রু দিলেও মাঝখানে একটি উইকেট বের করতে না পারায় ম্যাচ শেষে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন টেস্ট কাপ্তান। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিডল অর্ডার ব্যাটার ও দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘চট্টগ্রামের উইকেট এমনই থাকে। খুব বেশি ভাঙে না। ওদের ছয় উইকেট পড়ার পরে মাঝখানে একটি উইকেট বের করতে পারলে ম্যাচের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো।’ 

চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। পাঁচ দিনের মধ্যে শ্রীলঙ্কা দুই ইনিংসে এবং বাংলাদেশ এক ইনিংসে সেটা প্রমাণ করেছে। মুমিনুলের মতে, এখানে টিকে থাকা সহজ। তবে রান করা অতো সহজ নয়। দ্রুত রান করার চেষ্টা করলেই ঘটতে পারে হিতে বিপরীত। চট্টগ্রামের এই উইকেট অনেকদিন ধরেই এমন আচরণ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্টে বাংলাদেশ হারের বৃত্তে ছিল। সেখান থেকে ড্র হিসেবে ফলাফল খারাপ নয়। ম্যাচের লাগামও ছিল বাংলাদেশের হাতে। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের সুযোগ এগিয়ে নিতে না পারায় থেকে গেছে হতাশা। দল হিসেবে ভালো করায় খুশি অধিনায়ক মুমিনুল। তবে পেসাররা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

মুমিনুল বলেন, ‘পেসাররা বেশ কিছু সিরিজে টানা ভালো করে আমাদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই টেস্টে প্রথম ইনিংসের শুরুতে খালেদ-শরিফুলের কাছে উইকেট প্রত্যাশা করেছিলাম। তারা আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারতো। দ্বিতীয় ইনিংসে শরিফুল ছিল না। খালেদ উইকেট বের করতে পারলে ভালো হতো।’ 

প্রথম ইনিংসে নাঈম হাসান তুল নেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাকিব প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন এবং অনেক ভালো বোলিং করেছেন বলে উল্লেখ করেন টেস্ট কাপ্তান। তার মতে, প্রথম ইনিংসে লঙ্কান ব্যাটাররা যখন নাঈম-খালেদের ওপর চড়াও ছিল তখন সাকিব ভালো বোলিং করে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ এনেছেন। এছাড়া ২৩ মে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্টে দলের পরিকল্পনা ভিন্ন হবে বলেও উল্লেখ করেন মুমিনুল।