বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্লাব হয়তো রিয়াল মাদ্রিদ। সেরাদের কাতারে আছে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবা এসি মিলান, লিভারপুল। কিন্তু সেরা লিগের হিসেবে প্রিমিয়ার লিগই তর্ক সাপেক্ষে সেরা। 

যেখানে শিরোপা জয়ের জন্য তিন-চারটি ক্লাব মৌসুমের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যায়। যেখানে সেরা চারের জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই হয়। এমনকি অবনমন ঠেকানোর লড়াইটা পর্যন্ত শেষ মুহূর্তে গিয়ে ঠেকে। শুধু চলতি মৌসুমের হিসেবে নয়, বছর পর বছর ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলের জন্যই ইংলিশ লিগের দর্শক ও সম্প্রচার চাহিদা শীর্ষে। 

শেষ সময় পর্যন্ত লিভারপুলকে সমর্থন দিয়ে গেছে ভক্তরা। ছবি: টুইটার

চলতি মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই শেষ ম্যাচে গিয়ে ঠেকেছে। শেষ মিনিটেও বলা চলে। হেরে শিরোপা খোয়াতে বসেছিল ম্যানসিটি। ৭০-৮০ মিনিটের ঝলকে জয় পেয়েছে তারা। লিভারপুল শেষ ম্যাচে জিতেও ৩৮ ম্যাচ শেষে এক পয়েন্ট ও পাঁচ গোলের ব্যবধানে দ্বিতীয় হয়েছে। 

লিগের শেষ ম্যাচে টটেনহ্যাম ৫-০ গোলে জিতেছে। আর্সেনাল জিতেছে ৫-১ গোলে। অথচ এই ম্যাচেও ছিল চোখ আটকে। স্পার্সরা পয়েন্ট হারালেই সেরা চারে ঢুকতো গানাররা। এমনকি লিডস এবং এভারটনকে লিগে টিকে থাকতে দম ছুটে গেছে। শেষ পর্যন্ত টিকে গেছে তারা।   

সিরি আ' চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান। ছবি: টুইটার

শিরোপার পরিসংখ্যান টানলেও ইপিএলের লড়াই পরিষ্কার ফুটে ওঠে। শেষ দশ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ দেখেছে পাঁচ চ্যাম্পিয়ন।যদিও ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যানসিটি। বাকি চার মৌসুমে ম্যানইউ, চেলসি, লেস্টার সিটি ও লিভারপুল ঘরে তুলেছে শিরোপা। 

অন্যদিকে লা লিগা  শেষ দশ বছরে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে পেয়েছে। এর মধ্যে অ্যাথলেটিকো শিরোপা পেয়েছে মাত্র দু'বার। জার্মান বুন্দেসলিগা মানে বায়ার্ন মিউনিখের ঘরে শিরোপা। তেমনি ফ্রান্স লিগ ওয়ান মানে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। 

গল্পটা ইতালির সিরি আ'র জন্যও ভিন্ন কিছু ছিল না। তবে করোনা ভারসাম্য এনেছে এই লিগে। শেষ দশ বছরে তিন চ্যাম্পিয়ন দেখেছে লিগটি। এর মধ্যে গত মৌসুমে ইন্টার মিলান শিরোপা জিতেছে। রোববার শেষ হওয়া মৌসুমে এসি মিলান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তার আগের আট মৌসুমে শিরোপা জিতেছিল জুভেন্টাস।