- খেলা
- কিছু পণ্যের আমদানি স্থগিত হতে পারে
কিছু পণ্যের আমদানি স্থগিত হতে পারে
বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিতিশীলতা

বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতার মধ্যে কিছু বিলাসপণ্যের আমদানি সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোন কোন পণ্যের আমদানি স্থগিত করা হবে, তা পর্যালোচনার জন্য কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, আমদানি স্থগিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কিছু পণ্য আমদানি স্থগিত করার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহকে নিয়ে তাঁর দপ্তরে এক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে কোন কোন পণ্য আমদানি স্থগিত করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি সমকালকে বলেন, এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি বাবদ ব্যয় অনেক বেড়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও আমদানি বৃদ্ধির হার বেশি। অপরদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। এ অবস্থায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১০২ টাকায় পৌঁছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকগুলোতে এলসি খুলতে গিয়ে ডলার পাচ্ছেন না। আর যাঁরা পাচ্ছেন তাঁদের চড়া দাম দিতে হচ্ছে। এতে মূল্যস্ম্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার বিক্রি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫৫০ কোটি ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমে ৪২ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। এ রকম অবস্থায় সরকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সাশ্রয়ী
হতে চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করেছে সরকার। বিলাসপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বিষয় রয়েছে, সেগুলো দেরিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিদেশের সঙ্গে লেনদেনে বাংলাদেশের চাপ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বাবদ বেশি ব্যয়ের কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ের লেনদেনের ভারসাম্য (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, গত মার্চ শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯১ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে রপ্তানিতে ৩৩ শতাংশ আর আমদানিতে ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে এই ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫৩০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরের ৯ মাস শেষে চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪০৭ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সাবধান হতে চাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, আমদানি স্থগিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কিছু পণ্য আমদানি স্থগিত করার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহকে নিয়ে তাঁর দপ্তরে এক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে কোন কোন পণ্য আমদানি স্থগিত করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি সমকালকে বলেন, এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি বাবদ ব্যয় অনেক বেড়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও আমদানি বৃদ্ধির হার বেশি। অপরদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। এ অবস্থায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১০২ টাকায় পৌঁছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকগুলোতে এলসি খুলতে গিয়ে ডলার পাচ্ছেন না। আর যাঁরা পাচ্ছেন তাঁদের চড়া দাম দিতে হচ্ছে। এতে মূল্যস্ম্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার বিক্রি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫৫০ কোটি ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমে ৪২ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। এ রকম অবস্থায় সরকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সাশ্রয়ী
হতে চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করেছে সরকার। বিলাসপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বিষয় রয়েছে, সেগুলো দেরিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিদেশের সঙ্গে লেনদেনে বাংলাদেশের চাপ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বাবদ বেশি ব্যয়ের কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ের লেনদেনের ভারসাম্য (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, গত মার্চ শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯১ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে রপ্তানিতে ৩৩ শতাংশ আর আমদানিতে ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে এই ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫৩০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরের ৯ মাস শেষে চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪০৭ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সাবধান হতে চাচ্ছে।
মন্তব্য করুন