রিভিউ নেওয়ার কৌশল শেখার ম্যানুয়াল বাজারে নেই। থাকলে ভালোই হতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে মুমিনুল হকরা অন্তত কিছু পড়াশোনা করে যেতে পারতেন। তাতে করে ভুল রিভিউ নেওয়ার সংখ্যা হয়তো কমত। বাংলাদেশ দলের কথা মাথায় রেখে অদূর ভবিষ্যতে কেউ হয়তো রিভিউ ম্যানুয়েল তৈরি করতেও পারে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে গেলে ভুল রিভিউর বিশ্বরেকর্ড করে ফেলতে পারে বাংলাদেশ।

বিসিবি নিশ্চয়ই চাইবে না এমন একটি নেতিবাচক রেকর্ড লেখা হোক। তাই অতি দ্রুত একটি রিভিউ কোর্স চালু করতে পারে। 'ইন্সট্রাক্টর' হিসেবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজদের নিলে মন্দ হয় না। কারণ তারা রিভিউ নিয়ে বেশ সফল। ঢাকা টেস্টে শ্রীলঙ্কার রিভিউ সাফল্যের হার সে বার্তাই দেয়। চারবার রিভিউ নিয়ে টানা তিনটিতে সফল তাঁরা। ঢাকা টেস্টে চারটি রিভিউ নিয়ে তিনটিতেই ব্যর্থ স্বাগতিক দল। ৪২.৫ ওভারে দিমুথ করুনারত্নের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম আউটের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন। তাঁর মতো অভিজ্ঞ একজন বোলারের ওপর আস্থা রেখে রিভিউ নেন মুমিনুল। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায়, আম্পায়ার ঠিক ছিলেন। বলের ইমপ্যাক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে।

তবে ৮৭.৫ ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার রিভিউ নিয়ে সফল হন সাকিব আল হাসান। গতকাল খালেদের বলে (১৩৫.৩ ওভার) দিনেশ চান্দিমাল আর এবাদতের বলে (১৫৮.১ ওভার) অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের আউটের রিভিউ নিলে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। অথচ ম্যাথুজ দু'বার এবং চান্দিমাল একবার জীবন পান আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে। তিনবারই 'সরি' বলতে হয় নিরপেক্ষ আম্পায়ার জো উইলসনকে।

সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে ভুল রিভিউ নেওয়ার কারণে জানতে চাওয়া হলে অধিনায়কের উত্তর ছিল- 'নির্ভুল রিভিউ নিতে রোবট হতে হবে তাকে। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে হাসির রোল পড়ে যায়। মুমিনুল নিশ্চয়ই ম্যাথুজ, চান্দিমালদের রিভিউ নিয়ে সফল হতে দেখেছেন। লঙ্কান এ দুই ব্যাটারের শরীরে চিমটি কেটে দেখতে পারেন তাঁরা রোবট কিনা।