- খেলা
- একই ম্যাচে স্বেচ্ছায় আউট হলেন দুজন
একই ম্যাচে স্বেচ্ছায় আউট হলেন দুজন

আইপিএলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যে কৌশলকে আলোচনায় তুলে আনলেন, সেটির প্রয়োগ এবার এক ম্যাচেই দেখা গেল দুইবার। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে আগে কখনোই ইচ্ছে করে আউট হওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এবার এক ম্যাচেই ‘রিটায়ার্ড আউট’ দেখা গেল দুটি!
ভাইটালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টিতে রোববার বার্মিংহাম বিয়ার্সের ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও নটিংহ্যামশায়ারের সামিত প্যাটেল স্বেচ্ছায় আউট হওয়ার কৌশল বেছে নেন।
এজবাস্টনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি নেমে আসে ৮ ওভারে। সপ্তম ওভারের শেষ বলটিতে জেইক বলকে ছক্কায় ওড়ান ব্র্যাথওয়েট। তার পরও শেষ ওভারের আগে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে চলে যান বার্মিংহাম অধিনায়ক। যেটির কারণ নিঃসন্দেহে, শেষ ওভারের বোলার।
৮ ওভারে বার্মিংহাম তোলে ৯৮ রান। সেই রান তাড়ায় শেষ ওভারে নটিংহ্যামশায়ারের প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান। সেই সমীকরণ পরে দাঁড়ায় শেষ বলে ৬ রানে। স্ট্রাইকে ছিলেন সামিত প্যাটেল। শেষ বলটিতে ‘হাই ফুল টস’ করেন বোলার ক্রেইগ মাইলস, প্যাটেল নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। বার্মিংহামের ক্রিকেটাররা উদযাপন করতে শুরু করেন, কিন্তু খানিক পরই তাকিয়ে দেখেন, আম্পায়ার এক হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছেন, ‘নো বল!’
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির নিয়মে ‘নো বলের’ জন্য রান হয় ২। ওই বলে তাই রান হয় ৩, শেষ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। শেষ বলের আগে ক্রিজ ছেড়ে বাইরে চলে যান সামিত। ৩৭ বছর বয়সী ও অপেক্ষাকৃত ভারী শরীরের সামিতের স্বেচ্ছায় আউটের কারণটা পরিষ্কার, দ্রুত দৌড়ানোর মতো একজনকে সুযোগ দেওয়া। উইকেটে যান ক্যালভিন হ্যারিসন।
শেষ বলে অবশ্য ১ রানের বেশি নিতে পারেনি নটিংহ্যামশায়ার। বার্মিংহাম জিতে যায় ১ রানেই।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্বেচ্ছায় আউটের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ঘটনা এটি। তবে গত আইপিএলে অশ্বিনের আউট দিয়েই মূলত এটি আলোচনার ঝড় তোলে।
মন্তব্য করুন