এই ফ্রান্সের কাছেই রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে। তাই তাদের বিপক্ষে লড়াই মানে হিসাবটা বেশি। সবমিলে পুরোনো প্রতিপক্ষের সামনে এবারও ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারল না ক্রোয়েটরা। নিজেদের মাঠে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো ক্রোয়েশিয়াকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। আর ক্রোয়েশিয়া হেরেছিল অস্ট্রিয়ার কাছে।

প্রথমার্ধে ফ্রান্স বা ক্রোয়েশিয়া কোনো দলই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকদের পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। বলের দখলে ফ্রান্স অনেকটা এগিয়ে থাকলেও গোলমুখে সেভাবে শটই নিতে পারেনি। বরং ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার বুদিমির কয়েকবার ফরাসি রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলেন। কিন্তু ক্রোয়েটরা ফিনিশিংয়ের অভাবে সফল হয়নি। বিরতির আগে ফ্রান্স কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ বাধা হয়ে দাঁড়ান।

বিরতির পর ৫২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে গোলটি করেন জুভেন্টাস মিডফিল্ডার র‍্যাবিয়ট। ফরাসিরা এই লিড ধরে রাখে ৮০তম মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এরপর তারা পেনাল্টি উপহার দেয় ক্রোয়েশিয়াকে। ফ্রান্সের ডি বক্সে ক্লসের দ্বারা ফাউলের শিকার হন ক্রামারিচ। রেফারি অনেকটা সময় ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আর তা থেকে সমতা টানেন ক্রামারিচ নিজেই। বাকি সময় ব্যবধান বাড়াতে না পারায় ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।