- খেলা
- ঠিকমতো খেতে পারতেন না ১০০ মিলিয়নের নুনেজ
ঠিকমতো খেতে পারতেন না ১০০ মিলিয়নের নুনেজ
-samakal-62a73827abfa7.jpg)
উরুগুয়ের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা লুইস সুয়ারেজ। জীবনের শুরুতে যিনি ছিলেন সুইপার। এক জোড়া বুটের অভাবে ভালো কোনো দলে খেলতে পারেননি। সাত সন্তান নিয়ে কুলির কাজ করে বাবা রোডলফো এর চালানো সংসারে সুয়ারেজ অভাবকে সঙ্গী করে বড় হয়েছেন। মা সান্দ্রো অন্যের বাড়িতে কাজ করে কিছু রোজগার করতেন। দু'বেলা ঠিকমতো খেতেও পারতেন না। সেই সুয়ারেজ এখন ফুটবলবিশ্বের জনপ্রিয় ফুটবলার। লাতিন অঞ্চলের অনেক ফুটবলারের জীবনের গল্পটাই ঠিক এমন। এই যেমন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজ।
তবে সুয়ারেজের মতন কষ্টের জীবন কেটেছে তারও। বিভিন্ন সাক্ষাতকারে নুনেজ জানিয়েছিলেন তাদের জীবন সংগ্রামের কথা। নুনেজ ও তার ভাইয়ের জন্য টেবিলে খাবারের ব্যবস্থা করতে তার মায়ের ত্যাগ স্বীকার কখনো ভুলবেন না তিনি। এমনও দিন গেছে খালি পেটেই রাত কাটিয়েছেন সদ্য বেনফিকা থেকে লিভারপুলে যাওয়া বেনফিকার এই ফুটবলার।
নুনেজ জানিয়েছেন, হ্যাঁ, আমি খালি পেটে রাত কাটিয়েছি। তবে যিনি সবচেয়ে বেশি খালি পেটে ঘুমিয়েছেন তিনি আমার মা। আমি কোথা থেকে এসেছি তা আমি কখনোই ভুলব না।'
এক সাক্ষাতকারে নুনেজ জানিয়েছিলেন, সংসার চালাতে তার বাবা একটি কন্সট্রাকশনে প্রতিদিন ৮-৯ ঘন্টা কাজ করতো। মা ছিলেন গৃহিণী, তবে খাবারের যোগান দিতে রাস্তা থেকে কুঁড়িয়ে বোতল বিক্রি করতেন তার মা।
সংবাদ মাধ্যম গোলের দাবি, নুনেজের সঙ্গে চুক্তি করতে লিভারপুলের সবমিলিয়ে ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড বা ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হচ্ছে। নুনেজ হচ্ছেন লিভারপুলর ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। একশ' মিলিয়নের কোটায় ওঠা প্রথম ফুটবলারও।
২২ বছর বয়সে নুনেজ নিজেকে ইউরোপের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গেল মৌসুমে বেনফিকার হয়ে ৪১ ম্যাচে চার এসিস্টে ৩৪ গোল করেছেন তিনি। এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উরুগুয়ের সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবেও গোল পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন