লক্ষ্যটা মাত্র ৮৪ রানের। অথচ এই টার্গেটকেই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে যেন পাহাড়সম বানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশি পেসাররা। শুরুতেই ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের বেশ চাপে ফেলেছিলেন খালেদ আহমেদ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে জন ক্যাম্পবেল ও জেরমাইন ব্ল্যাকউড সে চাপ কমিয়ে এনেছেন অনেকটাই। দুজনের ৪০ রানের জুটিতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই তৃতীয় দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আর ৩৫ রান।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইনিংস হারের পথে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে দুটি ও তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে চার উইকেট হারায় সফরকারীরা। সাকিব ও নুরুল হাসান ফিফটি করে ওই ফাঁড়া কাটায়। কিন্তু তৃতীয় সেশনে নতুন বল নিতেই আউট হন তারা। অলআউট হয় বাংলাদেশ। 

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৯০.৫ ওভার ব্যাটিং করে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের জন্য ৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। সাকিব আল হাসান ৬৩ রানে ও নুরুল হাসান ৬৪ রানে আউট হতেই বড় লিডের আশা শেষ হয়। 

এর আগে ওপেনার তামিম ইকবাল ৩১ বলে ২২ রান করে আউট হন। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে এসে মিরাজ ২ রান করে ফিরে যান। প্রথম ইনিংসে ডাক মারা নাজমুল শান্ত করেন ১৭ রান। ডাক মারা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪ রান। এরপর লিটন আত্মহুতি দেন ১৫ বলে ১৭ রান করে। সেট হওয়া জয় আউট হন ১৫৩ বলে ৪২ রান করে। 

অ্যান্টিগা টেস্টে টস হেরে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০৩ রানে অলআউট হয়। সাকিব ফিফটি করে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ২৬৫ রান। তারা ১৬২ রানের লিড নেয়। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৯৪ রান করে ব্রাথওয়েট। ব্ল্যাকউড ফিফটি করে।

প্রথম ইনিংসে মিরাজ নেন চার উইকেট। এবাদত ও খালেদ দুটি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জোসেপ ও সিলস তিনটি করে উইকেট নেন।  দ্বিতীয় ইনিংসে কেমার রোচ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। আলজারি জোসেপ তিনটি ও কাইল মায়ার্স নিয়েছেন দুই উইকেট।