মাত্র ১৯ বছর বয়সে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রাশিয়া বিশ্বকাপে তার ফুটবল শৈলিতে নতুন রাজা এসে যাওয়ার ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু ওই এমবাপ্পে গত বছর ফ্রান্স জাতীয় দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 

ভক্তদের সমালোচনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন তার পাশে এসে দাঁড়ায়নি। নিন্দা -সমালোচনা বন্ধ করার আহ্বান করেননি। ভেঙে পড়েছিলেন পিএসজি তারকা। তবে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মত বদলান তিনি।  

ঘটনার সূত্রপাত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে। ফ্রান্স ভক্তদের হৃদয় ভাঙেন এমবাপ্পে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারে। ম্যাচ ৩-৩ গোলে সমতা হয়। গোল করতে পারেননি এমবাপ্পে। ওই আক্ষেপ তার মেটানোর কথা ছিল টাইব্রেকারে। কিন্তু শেষ শটটা মিস করেন তিনি। 

ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার অফিস রুমে তার সঙ্গে পাঁচ মিনিটের বৈঠক করি। সে খুবই রাগান্বিত ছিল। আর ফ্রান্সের হয়ে খেলবে না এমন কথাও বলে বসলো। যদিও তার রাগের মানে ওমনটা ছিল না। সকলেই জানে, সে একজন চ্যাম্পিয়ন।’ 

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন এমবাপ্পেও, ‘হ্যা, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসেছিলাম। আমাকে খুব বাজে ভাষায় গালি দেওয়া হচ্ছিল। মাঙ্কি নামেও ডাকা হচ্ছিল। খুবই অপমান করা হচ্ছিল। কিন্তু ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের থেকে কোন প্রতিবাদই করা হচ্ছিল না।’