জয়ের সুবাস নাকে আসছিল আয়ারল্যান্ডের। কিন্তু লোয়ার অর্ডার দৃঢ়তা দেখাতে না পারায় ঐতিহাসিক জয় পেল না দলটি। হেরে গেল এক রানে। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে স্বাগতিকরা করতে পারলো ৩৫৯ রান। 

ডাবলিনের দ্য ভিলেজে টস জিতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং ফিন অ্যালেন দারুণ শুরু করেন। দশ ওভারের মধ্যে যোগ করেন ৭৮ রান। অ্যালেন ফিরে যান ৩৩ রান করে। একটু পরেই আরও এক উইকেট হারায় কিউইরা। 

তবে টম ল্যাথাম ২৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। হেনরি নিকোলাস খেলেন ৫৪ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭৯ রানের ইনিংস। গ্লেন ফিলিপস ৩০ বলে ৪৭ রান করেন। তাদের ওই ইনিংস জুড়ে ছিল মার্টিন গাপটিলের প্রভাব। তিনি ১২৬ বলে ১৫ চার ও দুই ছক্কায় ১১৫ রান করেন। 

জবাব দিতে নেমে আয়ারল্যান্ড শুরুতে উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেট হারায় ৬২ রানে। এরপর ওপেনার পল স্টার্লিং এবং হ্যারি টেক্টর দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তারা যোগ করেন ১৮৯ রান। ওই জুটি ভাঙে স্টার্লিং ১০৩ বলে ১২০ রান করে ফিরলে। তার ব্যাট থেকে ১৪টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা দেখা যায়। 

হ্যারি টেক্টর করেন ১০৬ বলে ১০৮ রান। সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। কিন্তু শেষের ব্যাটাররা দলকে জেতানোর মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। গ্যারেথ ডিলানি ১৬ বলে ২২ করেন। লরকার টাকার ১৫ বলে ১৪ রান আসে। জর্জ ডকরেল করেন ১৭ বলে ২২। তাদের কেউ একজন একটু এগিয়ে দিলেই জয়টা এসে যেত। শেষ ওভারে আইরিশদের দরকার ছিল ১০ রান। তারা নিতে পারে ৮। জয়ের কৃতিত্ব তাই ব্ল্যাক ক্যাপস বোলার ব্লেয়ার টিকনারের।

আয়ারল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও ক্রিকেট বিশ্বকে যেন আগমণী বার্তা দিয়েছে। তারা প্রথম ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ৩০০ রান করে ভাগ্য দোষে ১ উইকেটে হেরেছে। পরের ম্যাচে রানটা (২১৬) ছোট হলেও দারুণ লড়াই করে হেরেছে ৩  উইকেটে। একদিক থেকে তাই হতাশার অন্যদিক থেকে উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো সিরিজ খেলেছে আইরিশরা।