একদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাইয়ের সুযোগ। অন্যদিকে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পালা। সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হলে প্রথম সুযোগটার জন্য নামতো বাংলাদেশ। কিন্তু সুযোগ এখন বেঞ্চের শক্তি ঝালিয়ে নেওয়ার। 

অধিনায়ক তামিম তাই শেষ ম্যাচের একাদশে একাধিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। কোচ ডমিঙ্গো বলেছেন, অনেক পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তবে পরিবর্তন আসবে না সেকথা তিনি বলেননি। জানিয়েছেন, নির্ভর করবে উইকেট-কন্ডিশনের ওপর। 

গায়ানার উইকেট-কন্ডিশনে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। প্রথম দুই ম্যাচের মতোই ধীর-নিচু-খটখটে উইকেট হবে। তিন স্পিনার নিয়ে নামা ভিন্ন উপায় নেই টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। স্পিন বিভাগে তাই একটি পরিবর্তনের সুযোগ আছে। তাহলো বাঁ-হাতি তাইজুল ইসলামকে দলে নেওয়া। 

কিন্তু নাসুম আহমেদও বেঞ্চের ক্রিকেটার। মাত্র দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচেই তাকে বিশ্রামে পাঠানো যৌক্তিক কিনা ওই প্রশ্ন থাকছে। পরিবর্তনটা আসতে পারে পেস আক্রমণে। উইকেট-কন্ডিশন অনুযায়ী, দুই বাঁ-হাতি শরিফুল-মুস্তাফিজই হওয়া উচিত সেরা পছন্দ। 

কিন্তু বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার খাতিরে শেষ ম্যাচে ফিরতে পারেন তাসকিন এবং এবাদত হোসেন। এর বাইরে এনামুল হক বিজয়ের একাদশে ঢোকা একপ্রকার নিশ্চিত। তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আনাই হয়েছিল ওয়ানডে খেলানোর জন্য। তিনি টেস্ট এবং টি-২০ খেলে ফেললেও ওয়ানডে একাদশে ঢুকতে পারেননি। 

শেষ ম্যাচে তামিম ইকবাল, লিটন দাস কিংবা নাজমুল শান্তর মধ্যে একজনকে বসিয়ে এনামুলকে দলে নেওয়া হতে পারে। উইকেট অনুযায়ী, লিটনকে বিশ্রাম দিলে একাদশে ভারসাম্য আসে। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই বাঁ-হাতি স্পিনারের নতুন বল সামলাতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন যখন পরীক্ষার ওসব টুকিটাকি ভাবনা দূরে রাখাই ভালো। 

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, এনামুল হক, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসাইন, নুরুল হাসান, মেহেদি মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ এবং এবাদত হোসেন। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ: কাইল মেয়ার্স, শেই হোপ, সামারাহ ব্রুক, ব্রেন্ডন কিং, নিকোলাস পুরান, রোভম্যান পাওয়েল, কেমো পল, আকিল হোসাইন, রোমারিও শেইফার্ড, আলজারি জোসেপ, গুডাকেশ মতি।