জাতীয় দল যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলছিল, ঢাকায় তখন বাংলাদেশ টাইগার ও এইচপির ক্যাম্প চলছিল। এই দুটি দল থেকে খেলোয়াড় নিয়েই গড়া হয়েছে বাংলাদেশ 'এ' দল। যারা ২৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে দুটি চার দিনের ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে। ৪ থেকে ৭ আর ১০ থেকে ১৩ আগস্ট প্রথম শ্রেণির ম্যাচ দুটি হবে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে তিনটিও (১৬, ১৮ ও ২০ আগস্ট) এই মাঠেই হবে। 

ক্যারিবীয় এই ভেন্যুতেই ক'দিন আগে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টেস্টটি হয়েছিল অ্যান্টিগায়। কোনো ভেন্যুতেই ভালো খেলতে পারেননি সাকিবরা। যেটা ঢাকায় বসেও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে 'এ' দলের গেম প্ল্যান তৈরি করছেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। চার দিনের ম্যাচে ব্যাটারদের উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার কৌশল শেখাচ্ছেন তিনি। বাবুল জানান, ব্যাটারদের লম্বা ইনিংস খেলার ওপর জোর দেবেন।

অ্যান্টিগার স্পোর্টিং উইকেটে সুইং ও বাউন্স মোকাবিলা করতে না পেরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছিল জাতীয় দল। দুই টেস্টে টাইগারদের সেঞ্চুরি নেই একটিও। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভুলগুলো চোখ এড়ায়নি বাবুলের। 'এ' দলের ব্যাটাররা যেন একই ভুল না করেন, সে চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর মতে, 'খেলাগুলো দেখে কিছু জিনিস নোটিশ বোর্ডে এসেছে। ব্যাটারদের মধ্যে টিকে থাকার লড়াইটা দেখতে পাইনি। জুটি গড়ে তোলার প্রবণতা কম ছিল। টুকটাক আরও কিছু জিনিস রয়েছে। সেগুলো থেকে আমি একটা পরিকল্পনা করেছি। জয়-পরাজয় ভুলে ছেলেদের লম্বা ইনিংস খেলতে বলা হবে। লুজ শট খেলে উইকেট ছুড়ে দেওয়া যাবে না। ব্যাটারদের মধ্যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে হবে- কে কত লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারে। অনুরূপ বোলারদেরও গেম প্ল্যান দেওয়া হবে এক চ্যানেলে বল করার। এলোমেলো বল করলেই নেগেটিভ মার্কিং হবে।'

'এ' দলের ক্রিকেটাররা লম্বা সময় ধরে অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে। এইচপি এবং বাংলাদেশ টাইগারের হয়ে রাজশাহীর শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ঘাসের উইকেটে চার দিনের একটি ম্যাচও খেলেছেন তাঁরা।