ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

কলকাতার পণ্য তামাবিল হয়ে গেল মেঘালয়ে

কলকাতার পণ্য তামাবিল হয়ে গেল মেঘালয়ে

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২ | ২২:৫০

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়ার (এসিএমপি) আওতায় বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহারের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে ভারত। এর অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কলকাতা থেকে মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে আসা ইলেকট্রো স্টিল কাস্টিং লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজের ১৬ হাজার ৩৮০ টন লোহার পাইপসহ একটি কনটেইনারের চালান সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে মেঘালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় সিলেটের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল ও ভারতের গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার এবং মিশনপ্রধান শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুরসহ বন্দরসংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১ আগস্ট ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে একটি জাহাজ ছেড়ে আসার পর গত রোববার মোংলা বন্দরে এসে নোঙর করে। সোমবার দুপুরে কনটেইনার ও স্টিল পণ্য খালাসের পর দুটি কনটেইনারের একটি ভারতের মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে বুধবার সকালে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে যায়। আরেকটি কনটেইনার কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসামে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এসিএমপির আওতায় এই ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চুক্তিটি হয়। কিন্তু করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় এর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে চারটি রুটে ট্রায়াল রানের অনুমতি চাওয়ার পর আপাতত দুটি স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মোংলা বন্দর ব্যবহারবিষয়ক চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে চারটি ট্রায়াল রানের প্রথমটি শুরু করেছে কলকাতা বন্দর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ট্রায়ালে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশি নৌযান (কার্গো) 'এমভি রিশাদ রায়হান' পণ্যবোঝাই দুটি কনটেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে। এ দুটি কনটেইনারের একটিতে ইলেকট্রো স্টিল কাস্টিং লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজের ১৬ দশমিক ৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং আরেকটিতে ২৪৯ প্যাকেজে ৮ দশমিক ৫ টন প্রিফোম রয়েছে। যার মধ্যে ইলেকট্রো স্টিল কাস্টিং লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজের ১৬ দশমিক ৩৮০ টন লোহার পাইপভর্তি কনটেইনারটি তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে মেঘালয়ে পাঠানো হয়েছে। অন্যটি কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসামে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল সাংবাদিকদের জানান, ২০২২ সালের মার্চে ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারই প্রথম ট্রায়ালের পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাসের পর তামাবিল দিয়ে মেঘালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

×