তিনি কিংবদন্তি ক্রিকেটার। কখনোই মাঠে গিয়ে তাঁর খেলা দেখার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের তারকা মারিয়া মান্ডার। তবে ইউনিসেফের সৌজন্যে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি আড্ডা দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে মারিয়ার। 

জাতিসংঘের জরুরি শিশু তহবিলের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে এ বছরই দুই দশক পূর্ণ হয়েছে শচীনের। গত ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার দুই তরুণ ফুটবলার বাংলাদেশের মারিয়া মান্ডা ও ভারতের আনশু কাচাপের সঙ্গে অনলাইনের এ আড্ডায় উপস্থাপক ছিলেন ৪৯ বছর বয়সী সাবেক এ ক্রিকেটার। শচীনের সঙ্গে আলাপচারিতার ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন মারিয়া মান্ডা। সেই ভিডিওতে বাংলায় কথা বলতে দেখা যায় টেন্ডুলকারকে, 'মারিয়া কেমন আছো?'

অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে করোনার সেই ভয়াবহ সময় ভুলে গিয়ে বর্তমান নিয়ে ভাবতে বলেন শচীন। আড্ডার শুরুতে সবাই নিজেদের পরিচয় দেন। 'হ্যালো, এভরিওয়ান। আমার নাম শচীন টেন্ডুলকার।' তারপর নিজের পরিচয় দেন ভারতের ফুটবলার আনশু কাচাপ। বাংলায় নিজের পরিচিতি তুলে ধরেন মারিয়া, আমি মারিয়া মান্ডা। তাঁর বাংলা কথা শোনার পরই শচীন টেন্ডুলকার বলে উঠলেন, 'কেমন আছো মারিয়া?' 

বাংলাদেশের এ ফুটবলারও বাংলায় জবাব দেন, 'আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?' হেসে উত্তর দেন শচীন, 'ভালো, একদম ভালো আছি। তুমি সত্যিকার চ্যাম্পিয়ন।'

মূলত করোনাকালীন সময়টা কীভাবে কাটিয়েছেন, সেই জিনিসগুলোই মারিয়া ও আনশুর কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন টেন্ডুলকার এবং স্বাস্থ্য ও মন ভালো রাখার জন্য টিপসও দিয়েছেন তিনি। আর সেই কঠিন সময়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে কীভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন, সেটাও জানতে চান টেন্ডুলকার। 

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়ক বলেন, 'করোনা যখন শুরু হয়, দেশের অবস্থা খুব ভালো ছিল না। আমাদের মন সুস্থ রাখার জন্য আর মানসিকভাবে চাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমরা সবাই বাসায় যাই। আমাদের শারীরিক সুস্থ থাকার জন্য আমাদের ফেডারেশন থেকে প্র্যাকটিসের শিডিউল দেওয়া হয়। সে শিডিউল অনুযায়ী আমরা প্র্যাকটিস করি এবং সপ্তাহে একদিন আমাদের কোচদের সঙ্গে জুম মিটিং করি। আমরা যে প্র্যাকটিস করি, তার ভিডিও কোচিং স্টাফদের পাঠাতে হয়। আমরা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই এবং মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকি।'

পরিশেষে কিছু প্রেরণাদায়ক মন্তব্য করে মারিয়াকে ধন্যবাদ জানান শচীন।