দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মৌসুমেই ক্রিকেটবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন বেন স্টোকস-ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম জুটি। তিন দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জেতার পর স্টোকসের ইংল্যান্ডকে নব্বইয়ের অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন সাবেক ইংলিশ তারকা ডেভিড লয়েড। নাসের হুসেইন, মাইকেল ভনরা তো এখনই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন- আগামী বছর অ্যাশেজ স্টোকসের ইংল্যান্ডই জিতবে।

তবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম মৌসুমের অর্জনে নাকি কিছুটা ভীত বেন স্টোকস। নতুন নেতৃত্বের অধীনে চলতি গ্রীষ্ফ্মে সাত টেস্টের ছয়টিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। অথচ কিছুদিন আগেও কী ভয়াবহ অবস্থা ছিল ইংল্যান্ডের! স্টোকস দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেড় বছরে জো রুটের অধীনে ১৭ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছিল তারা। সেই অবস্থা থেকে স্টোকস-ম্যাককুলামের নেতৃত্বে রাতারাতি বদলে যায় ইংল্যান্ড। 

আগ্রাসী ক্রিকেটে নতুন ঘরানার আবির্ভাব ঘটে তাদের হাত ধরে; ম্যাককুলামের ডাকনাম অনুসারে যার নাম দেওয়া হয় 'বাজবল'। এই নতুন ঘরানায় খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আগ্রাসন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেয় তারা। চতুর্থ ইনিংসে তিনশর কাছাকাছি টার্গেট তারা দাপটের সঙ্গে তাড়া করেছে। নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ তে উড়িয়ে দেওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও জিতেছিল তারা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হোঁচট খাওয়ার পর তাদের নতুন ঘরানা নিয়ে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পরের দুই টেস্টে দাপট দেখিয়ে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন স্টোকস-রুটরা।

এই নতুন ইংল্যান্ড আগামী ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে টেস্ট খেলতে নামবে। পাকিস্তান সফরের সেই তিন টেস্টেও একই মানসিকতা নিয়ে নামবেন বলে জানিয়েছেন স্টোকস, 'পাকিস্তানেও আমরা একই মানসিকতা নিয়ে নামব। চ্যালেঞ্জটা হয়তো সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু সাত টেস্টের ছয়টি যে কৌশলে জিতেছি, সেটা থেকে তো বের হওয়া সম্ভব নয়। আমরা জানি, সেখানে আমাদের অনেক বেশি স্পিন মোকাবিলা করতে হবে। তবে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা মুখিয়ে আছি।' 

আরও একটি বিষয় হলো, গত কিছুদিন ইংল্যান্ড যে দাপট দেখিয়েছে, সেটা তাদের সেরা দুই পেসার জোফরা আর্চার ও মার্ক উডকে ছাড়া। চোট থেকে উঠে এ দুই পেসার ফিরলে তাদের শক্তি আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্টোকস, 'আমাদের সেরা দুই পেসারকে পুরো গ্রীষ্মে পাইনি। তারা ফিরলে আমরা নিশ্চিতভাবেই আমাদের বোলিং আরও শানিত হবে।'