হিমালয় জয় করা সাবিনা খাতুনদের নিয়ে উৎসবে ভাসছে পুরো দেশ। গত সপ্তাহে কাঠমান্ডুতে নারী সাফে বাংলাদেশের ট্রফি জয়ের গল্পগুলো এখনও সবার মুখে মুখে। মেয়েদের সাফল্যের মধ্যে ছেলেরাও ফুটবলে নতুন রং এনেছে। বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। স্বস্তির সেই জয় নিয়ে এবার বাংলাদেশের ফুটবলের বহু ইতিহাস রচয়িতার দেশ নেপালে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। 

কাঠমান্ডুতে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের ছেলেরা জিতেছিল সাউথ এশিয়ান গেমস ফুটবলের স্বর্ণ। সেখানে সাবিনারা গড়েছেন ইতিহাস। তাঁদের সেই সাফল্যকে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে রাকিব হোসেন-মোহাম্মদ ইব্রাহিমরাও এখন কোটি বাঙালিকে আনন্দ দিতে চান। ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।

র‍্যাংকিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে থাকা কম্বোডিয়ার (১৭৪) বিপক্ষে জয়টি বাংলাদেশের (১৯২) জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জয়টি র‍্যাংকিংয়ের উন্নতিতে প্রভাব ফেলবে। এখন নেপালের বিপক্ষে জিতলে স্বস্তি মিলবে ছেলেদের ফুটবলে। আর কোচ ক্যাবরেরার মেয়াদও বাড়বে। আপাতত কোনো হিসাব কষছে না লাল-সবুজের দলটি। নমপেনে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয়টিতে যেন বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশকে দেখা গেছে। পুরো ৯০ মিনিট যেভাবে খেলেছেন ফুটবলাররা, তাতে নতুন আশা দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা। 

৭ ম্যাচ এবং ১০ মাস পর কোনো ম্যাচ জেতার আনন্দ একটু বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। সে দিন রাতে হোটেলে ফিরে উৎসব করেছিলেন আনিসুর রহমান জিকো-মতিন মিয়ারা। তবে নেপালে যাওয়ার তাড়া ছিল বলে দ্রুতই সবাই ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছিলেন। আত্মবিশ্বাসী এক বাংলাদেশ এখন হিমালয়ের দেশে।

গতকাল বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠেও ফুটে উঠেছে আত্মবিশ্বাসের সুর, 'কম্বোডিয়ার সঙ্গে ম্যাচ জেতার পর সবাই উজ্জীবিত। এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য নেপাল। এই ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'

যার গোলে এসেছে স্বস্তির জয়। সেই রাকিব হোসেনের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই। গোল করার পর এতটাই উদ্যমী হয়েছিলেন যে, খুশিতে কোচ ক্যাবরেরার কাঁধে উঠেছিলেন এ ফরোয়ার্ড। নেপালের বিপক্ষেও দলের জয়ে অবদান রাখতে চান রাকিব, '২০১৯ সালে ওমানে বিশ্বকাপে বাছাই পর্বে জাতীয় দলে প্রথমবার আমি ডাক পাই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) কম্বোডিয়ার বিপক্ষে আমার গোলে দল জয়ী হয়েছে। এতে আমি খুবই আনন্দিত। এই ধারাটা অব্যাহত রাখতে চাই। নেপালের বিপক্ষেও ভালো করতে চাই এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস আছে আমার।'