- খেলা
- কোচের অঙ্ক মিলেছে কি
কোচের অঙ্ক মিলেছে কি

আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজটি সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। খেলা নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না সমর্থকদের মাঝেও। তবুও সদ্য সমাপ্ত টি২০ সিরিজের গুরুত্ব অনেক। ক্রিকেটারদের জয়ের ছন্দে ফেরা বড় প্রাপ্তি। কোচ শ্রীধরন শ্রীরামও দেখে নিতে পারলেন খেলোয়াড়দের। ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদেরও পরখ করেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে সেরা সমন্বয় বেছে নেওয়া এখন আর কঠিন হবে না কোচের জন্য। সেদিক থেকে দেখলে বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা প্রস্তুতি হয়ে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। যদিও দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেনি বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনার প্রথম ম্যাচ জিতেছে ৭ রানে। গতকাল দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতেছে ৩২ রানে।
বাংলাদেশের মতো ইউএইও এবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে খেলছে। বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে এশিয়া কাপজয়ী শ্রীলঙ্কা তাদের প্রতিপক্ষ। তাই বলা যায়, ইউএইর বিপক্ষে সিরিজ খেলে ভালোই করেছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়দের সামর্থ্য জেনে নিতে পারলেন কোচ। ২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপের মতো 'ভ্রান্ত আত্মবিশ্বাস' নিয়ে খেলতে হবে না। যদিও বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিছুটা বাকি রয়েছে। দুবাইয়ের স্লো উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে খেলাননি কোচ। নিউজিল্যান্ডের স্পোর্টিং কন্ডিশনে সুযোগ দেওয়া হবে তাঁকে। পেসার হাসান মাহমুদকেও দেখার আছে কোচের। বাকি পাঁচ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও সাইফউদ্দিনকে পরখ করেছেন দুই ম্যাচে। টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে সাব্বির রহমান বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপ দলের জন্য উপযুক্ত নন তিনি। তাই কোচকেও ওপেনিং স্লট নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ম্যাচে দলীয় রান কিছুটা বাড়লেও সমন্বিত পারফরম্যান্স হয়নি। পরীক্ষার শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশ। যেখানে ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন মিরাজ। লিটন ২০ বলে ২৫ করে আউট হন। তবে আফিফ, ইয়াসির ও সোহান করেছেন ইমপ্যাক্ট ব্যাটিং। আফিফ ১০ বলে ১৮, রাব্বি ১৩ বলে ২১, সোহান ১০ বলে ১৯ রান করেন। এই তিন ব্যাটারই চার-ছক্কা মারার পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছেন। তিনটি ইমপ্যাক্ট ইনিংসের মাঝে মোসাদ্দেকের ২২ বলে করা ২৭ রান ইনিংস এগিয়ে নেওয়ার প্রতিফলন। জবাবে ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান করে ইউএই। সমন্বিত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের কারণেই কম রানে বেঁধে রাখা গেছে স্বাগতিকদের। মোসাদ্দেক ২টি, তাসকিন, নাসুম ও এবাদত ১টি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন