‘গ্যালারিতে ব্রাজিলের দর্শক খুঁজে পাওয়া ছিল দুষ্কর।’ ম্যাচ শেষে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কোচ তিতে। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দেখতে ফ্রান্সে তেমন সেলেকাও ভক্ত আসেননি। তবে ফ্রান্সে তিউনিস অভিবাসীর কারণে দলটির দর্শক ছিল অনেক।

ফ্রান্সের দর্শকও এসেছিল ব্রাজিলের পায়ের জাদু দেখতে। ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম পর্যন্ত বিশ্বকাপের আগে কাছ থেকে ব্রাজিলের খেলা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওই ফ্রান্সের দর্শকও সমর্থন দিয়েছে তিউনিসিয়াকে। 

সব মিলিয়ে ব্রাজিলের জন্য কঠিন এক পরিবেশ তৈরি করে তিউনিস ভক্তরা। দুয়ো কিংবা উল্লাসের গণ্ডিও ছাড়িয়ে যায় তারা। গোল করে দলের লিড পুনরুদ্ধার করা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্লিসন উদযাপন শুরু করলে তার দিকে কলা ছুড়ে মারা হয়। 

যা বর্ণবাদী আচরণের খুবই বাজে উদাহরণ। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে বানরের সঙ্গে তুলনা করে চরম নিচু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন স্প্যানিশ ফুটবল এজেন্ট পেদ্রো ব্রাভো। তার জবাবে ম্যাচ শুরুর আগে রিচার্লি ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে যান। যাতে লেখা ছিল, ‘কালো মানুষ না থাকলে আমাদের জার্সিতে এই স্টারগুলো আসতো না।’ 

এরপর রিচার্লি গোল করার পর তার দিকে কলা ছুড়ে মাঠেই তাদের বানরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় নেইমার-রাফিনহা-অ্যালিসনদের চোখে লেজার রশ্মি মারা হয়েছে। নেইমার পেনাল্টি নেওয়ার সময়, তিউনিসিয়া ফ্রি কিক নেওয়ার সময় অ্যালিসনকে ওই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। 

এমনকি তিউনিসিয়া যেন ওই ম্যাচে নেইমারকে ইনজুরিতে ফেলার বাজে পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল। প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে খুবই বাজে ট্যাকল করে ব্রোন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তার আগে নেইমার তিনবার ফাউলের শিকার হয়েছেন। যার জন্য একজন হলুদ কার্ডও দেখেছেন।

জবাবটা মাঠেই দিয়েছে ব্রাজিল। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে জিতেছে ৫-১ গোলে। রাফিনহা জোড়া গোল করেছেন, নেইমার, রিচার্লি ও পেদ্রো গোল করেছেন। ম্যাচ শেষে রিচার্লি কলা ছুড়ে মারা ভক্তদের শাস্তি চেয়েছেন, ‘উদযাপন তখন কী ভেবে করেছিলাম জানি না। বর্ণবাদী আচরণ স্পেনে ভিনির সঙ্গে হলো, এখানে আমাদের সঙ্গে হলো। অবশ্যই তাদের খুঁজে শাস্তি দেওয়া উচিত।’