কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে স্পেনের ৩৪ বছর বয়সী সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জাভি মার্টিনেজের বড় বাজি আর্জেন্টিনা। তিনি মনে করেন, জার্মানি, স্পেন এবং ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু আর্জেন্টিনা গত দু’বছর যেভাবে খেলছে তাতে তার বাজি মেসিদের পক্ষে।

জাভি মার্টিনেজ বলেন, ‘আমার মতে, জার্মানি, স্পেন এবং ব্রাজিল বিশ্বকাপের আজীবন ফেবারিট। এর বাইরে মনে হয়েছে, বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সুযোগ আছে আর্জেন্টিনার। দু’বছর ধরে তারা ভালো ফুটবল খেলছে, তাদের দলটা ভালো। তাদের দলে লিওনেল মেসি আছেন, যিনি বিশ্বকাপ জিততে সবটা উজাড় করে দেবেন। যদি আমাকে আমার সব অর্থ একটা দলের পক্ষে বাজি ধরতে বলা হয়, আমি আর্জেন্টিনার পক্ষে ধরবো।’

তিনি মনে করেন, তরুণ দল হলেও স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে। তার জন্য খেলোয়াড়দের ইনজুরি মুক্ত থাকতে হবে, ‘বিশ্বকাপ জিততে সক্ষম এমন একটা দল আছে স্পেনের। এটা সত্য তাদের অধিকাংশই তরুণ তবে তারা শীর্ষ পর্যায়ে খেলছে। আবার বিশ্বকাপ সহজ কথা নয়। এটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা। শুধু ভালো দল নিয়ে বিশ্বকাপ জেতা যায় না। তার জন্য ভাগ্য দরকার, কখন লড়তে হবে সেটা জানা দরকার, ইনজুরি মুক্ত থাকা দরকার। তবে আমি কোচ লুইস এনরিক, তার দর্শনে বিশ্বাস রাখি।’

জাভি মার্টিনেজ ২০১০ সালে স্পেনের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন। স্পেনের হয়ে মাত্র ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে খেলেছিলেন ১৭ মিনিট। তারপরও তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। জাভি-ইনিয়েস্তার সঙ্গে স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী এই খেলোয়াড় বর্তমানে কাতারের ক্লাবে খেলছেন। তার মতে, আতিথেয়তার কারণে এবারের বিশ্বকাপ হবে আলাদা। কাতার বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে মুখিয়ে আছে।

তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, ভিন্ন এক আমেজ পাবে বিশ্ব। এটা তাদের জন্য বিশ্বকে কাতার চেনানোর সুযোগ। তাদের দেশ, শহর দেখানোর সুযোগ। আমি বিশ্বাস করি, তারা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে। বিশ্বকাপ আয়োজন করা সহজ কোন কাজ নয়। কিন্তু কাতার প্রস্তুত। তাদের স্টেডিয়ামগুলো দেখলে বোঝা যাবে বিশ্বকাপের জন্য তারা কী কী করেছে। স্টেডিয়ামগুলো অবিশ্বাস্য, সবগুলো ফাইভ স্টার ভেন্যু। স্টেডিয়াম দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হবে।’

কাতারে এসে মার্টিনেজ আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি দ্বিধায় ছিলেন কাতার থেকে আসা প্রস্তাব গ্রহণ করবেন কিনা। কিন্তু তার বাল্যকালের কোচ আন্দ্রে হেরেইরা তাকে প্রস্তাব গ্রহণ করতে বলেন। কাতারে আসা এবং কাতার এসসি’র হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এসে ভিন্ন এক সংস্কৃতি দেখলাম। তারা খুবই সদয়, সম্পর্ক একটু ভালো হলেই পরিবারের অংশ হিসেবে দেখবে। বাড়িতে দাওয়ায় দেবে, যা আমাকে বিস্মিত করেছিল, খুব আন্তরিকও মনে হয়েছিল।’