ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন নেপালের তারকা স্পিনার সন্দীপ লামিচানে। বৃহস্পতিবার নেপালের ত্রিভুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন কাঠমান্ডু ডিস্ট্রিক পুলিশের মুখপাত্র দিনেশ রাজ মৈনালি।

যদিও লামিচানেকে গ্রেপ্তার করতে নেপালের পুলিশকে তেমন কিছু করতে হয়নি। এক ফেসবুক বার্তায় দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন লামিচানেই। কোন ফ্লাইটে, কখন কাঠমান্ডুতে পৌঁছাবেন, সেটাও তিনি সেই বার্তায় জানিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে দেশে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হয়।

লামিচানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৭ বছর বয়সী নাবালিকা ভক্তের সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছেন তারকা লেগ স্পিনার। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ। ঘটনায় নেপাল ক্রিকেট বোর্ড (সিএএন) লামিচানেকে জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। বাদ পড়েন সিপিএল থেকেও।

অভিযোগকারীর দাবি, গত ২১ আগস্ট লামিচানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। মেয়েদের হোস্টেল আটটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোটেলে লামিচানের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য হন ওই কিশোরী। প্রথমে তিনি আলাদা ঘরে থাকতে চাইলে সেটি হতে দেননি লামিচানে। তার বদলে নিজের ঘরে ডেকে এনে ওই কিশোরীকে দুই বার ধর্ষণ করেন। ওই কিশোরীর বাবা-মা অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ তদন্ত করে এই তথ্য জানতে পেরেছে।

বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে নেপালকে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে সন্দীপের। ২০১৮ সালে ওয়ানডে স্টেটাস পায় নেপাল। সে বছরই আইপিএলে সুযোগ পান সন্দীপ। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেন তিনি। টি ২০ ফরম্যাটে নেপালের সেরা ক্রিকেটার তিনি। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সন্দীপ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর জেনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সে কারণেই দেশে ফিরতে দেরী হওয়ার বিষয় জানিয়েছিলেন।