হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান। শুরুতে দুই ওপেনারকে হারালেও ইফতিখার ও মাসুদের হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান করে তারা।

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে টস জিতে ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শূন্যরানে বাবর ও ১২ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন রিজওয়ান। ১৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে ছিল পাকিস্তান। সেই চাপকে সামাল দেন ইফতিখার-শান মাসুদ। চার ছক্কা হাঁকিয়ে দ্রুত রান তোলেন ইফতিখার। অক্ষরের প্রথম চার বলের মধ্যে তিনটি ছক্কাই হাঁকান পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ২১ রান তোলা ওই ওভারেই তিনি তুলে নেন ৩২ বলে ফিফটি। এর ঠিক পরের ওভারেই তার ব্যাটিং ঝড় থামান মোহাম্মদ শামি। ৩৪ বলে গড়া ইফতিখারের ৫১ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা। শান মাসুদের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েছেন এই দুই ব্যাটার।

ঝড় তুলে ইফতেখার ফিরতেই নামেন শাদাব খান। শুরুতেই আগ্রাসী হতে হার্দিকের শিকার হয়ে ৫ রানে ফেরেন তিনি। একই ওভারে বিদায় নেন হায়দার আলীও (২)। তারপর মোহাম্মদ নওয়াজকেও ফেরান ভারতীয় এ অলরাউন্ডার। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই বিধ্বংসী ব্যাটার আসিফ আলিকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন অর্শদীপ। ২৯ রান তুলতেই ৫টি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান।

শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের শাহিন আফ্রিদি ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ আর হারিস রউফ ৪ বলে ১ ছক্কায় করেন ৬। একের পর এক উইকেট পড়লেও একপাশ আগলে ছিলেন শান মাসুদ। শেষ পর্যন্ত অর্ধশতকও পূরণ করে ফেলেন। ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন শান মাসুদ।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া আর অর্শদীপ সিং।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত মোট ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। তাতে ভারতের ৮ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তান জিতেছে মোটে ৩টি ম্যাচ। এছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের দুর্ভাগ্য তো আছেই। গত ট-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিশ্ব আসরে কখনোই ভারতে বিপক্ষে জিততে পারেনি পাকিস্তান।

ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার ও অর্শদীপ সিং।

পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলি, হায়দার আলি, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শান মাসুদ।