- খেলা
- শ্রীরাম বললেন যতটা পারা যায়
শ্রীরাম বললেন যতটা পারা যায়

পরীক্ষার আগের রাতে পড়া আর আগে থেকেই পড়ে রাখা- দুই ধরনের ছাত্রকে চেনেন সাকিব আল হাসান। তিনি হলেন, আগে থেকে পড়া শেষ করে ফেলা ছাত্রদের একজন। ক্রিকেট মাঠেও নিজেকে সেভাবে তৈরি করেছেন। ম্যাচের আগের দিন খুব বেশি প্র্যাকটিসের পক্ষে নন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এই নিয়ম তিনি টি২০ দলেও প্রয়োগ করছেন। গতকাল তাই গ্যাবায় অনুশীলন করা থেকে বিরত থাকলেন ১৩ জন ক্রিকেটার। নুরুল হাসান সোহান আর ইয়াসির আলী রাব্বি নেটে ব্যাটিং করেছেন। গতকালের বিশ্রামটা প্রয়োজনও ছিল। টানা খেলা আর ভ্রমণ ক্লান্তি কাটিয়ে সতেজ হয়ে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নামতে পারবেন তাঁরা।
বাংলাদেশের মতো জিম্বাবুয়ে দলও গতকাল অনুশীলন করেনি। সিকান্দার রাজা ও ক্রেগ আরভিন নেটসেশন করেছেন আলাদা করে। রানের ক্ষুধা মেটাতেই ছন্দে থাকার পরও ম্যাচের আগের দিন ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন তিনি। বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য যেটা শেখার। যদিও জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে শিক্ষণীয় কিছু গ্রহণ করার মতো মানসিক অবস্থায় নেই ক্রিকেটাররা। কারণ এখন পর্যন্ত একটা ঘোরের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে কোচ শ্রীরামের বিশ্বাস সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ। এর প্রমাণ দেখা যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শ্রীরামের মতে, 'এই টুর্নামেন্টে আবেগের কোনো জায়গা নেই। একটা দিন খারাপ যেতেই পারে। পরের দিন ভালোভাবে ফিরে আসার সুযোগ থাকে। আমার বিশ্বাস ছেলেরা জানে কীভাবে খেলতে হয়। যা কিছু ঘটেছে তা পেছনে চলে গেছে। কাল সবাইকে জেগে উঠতে হবে। প্রশিক্ষণ, ভ্রমণ ও খেলাই কাজ। আমাদের দিক থেকে কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা স্বচ্ছ। আমরা প্রস্তুতি নেব, কঠোর পরিশ্রম করব, যতট পারা যায়।'
পরিকল্পনা অনুযায়ী একাদশে এক পরিবর্তন আনা হতে পারে। একাদশে ফিরতে পারেন মিডল অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলী রাব্বি। সেক্ষেত্রে মেহেদী হাসান মিরাজকে রিজার্ভ বেঞ্চে চলে যেতে হবে। পেস বোলিংয়ে শরিফুল ইসলামকে বিবেচনায় রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মাঠে আসার পর। বোলার বা ব্যাটার সংযোজন বা বিয়োজন করা হলেও ব্যাটিং অর্ডার ঠিক থাকবে। সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেন করবেন। শ্রীরাম বলেন, 'আমি মনে করি উদ্বোধনী জুটি ভালোই করছে। আরও বেশি যখন খেলবে তখন আরও অভিজ্ঞ হবে, একসঙ্গে যত বেশি খেলবে, ভিন্ন জায়গা, প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, ভিন্ন কন্ডিশনে খেলবে আরও শিখবে। দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি কক যেভাবে খেলল, যে ইমপ্যাক্ট রাখল; যা নিয়ে আমরা কথা বলছি, সে দিক থেকে শান্ত ও সৌম্যের জন্য শেখার প্রক্রিয়া এটি। এই ম্যাচে হয়তো ভালো করবে তারা।' একাদশ যেমনই হোক, বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনে সেরাটা দিতে পারবে বলে জানান কোচ। সংবাদ সম্মেলন শেষে একান্তে অনেক কথাই বলেছেন তিনি। যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে সাকিবের একাগ্রতা। অধিনায়ক আজ বাংলাদেশ দলকে জয়ের পথে ফেরাবে বলে মনে করেন কোচ। বোলিং ইউনিটের ওপর ভরসা রাখতে চান তিনি। খেলোয়াড়রাও মাঠে প্রতিদান দিতে চান ব্রিসবেনের নান্দনিক গ্যাবায়।
মন্তব্য করুন