কেবল বিনোদন নয়, গেম খেলার মাধ্যমে ছোটদের শেখানো যায় বর্ণমালা। এমনই এক গেম 'সোলজার অব ফিফটি টু' তৈরি করেছেন ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ও প্রকৌশল বিভাগের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র কাজী আরাফাতুল ইসলাম ইনসাফ। গেমটি তৈরিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বায়োজিদ শাহরিয়ার ও শাহাদাত হোসাইন শাহীন। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, ভাষা আন্দোলনের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে গেমটির নাম রাখা হয় সোলজার অব ফিফটি টু। ছোটবেলা থেকেই ইনসাফের গেমের প্রতি ছিল আকর্ষণ। বড় হয়ে গেম বানানোর স্বপ্নও দেখতেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ খুঁজে পেলেন বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র হাইকমিশন ও বাংলাদেশ আরডুইনো কমিউনিটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ১৪ দিনের এক অনলাইন ওয়ার্কশপে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে।

ইনসাফ বলেন, 'দেশ-বিদেশে বসবাস করা ৬০ মিলিয়ন বাংলাদেশি শিশুর মধ্যে আগামী এক বছরে এক মিলিয়ন শিশুর কাছে গেমটি পৌঁছে দিতে চাই। সোলজার অব ফিফটি টু আমার প্রথম গেম নয়, আগে আরও দুটি গেম তৈরি করেছি। মোবাইল অ্যাপ, ওয়েব অ্যাপ, গেম ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, আইওটি, রোবটিকস, ডাটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিংয়ের বেসিক শিখেছি অনেক আগেই।'

গেম ব্যবহারকারী ৯ বছর বয়সের আয়মান বলে, 'গেমটি অনেক ভালো। এটি সহজেই খেলা যায়। মনের আনন্দে বর্ণ শেখা যায়।'

গেম তৈরি ছাড়াও ইনসাফ জিরো ওয়ান ল্যাব নামে এক আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বিজনেস নামে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিও রয়েছে। তিনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সেরা আর্নার ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ল্যাপটপ উপহার পেয়েছেন।

২০১৪ সাল থেকে সামাজিক ও সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ইনসাফ। নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন পাঠাগার। বাংলাদেশ হেল্প টু আদারস সোসাইটির ফাউন্ডার হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।

আগামীর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে কাজী আরাফাতুল ইসলাম ইনসাফ বলেন, 'আইটির মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে চাই। ২০৩০ সাল থেকে শিশুদের চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। যার মাধ্যমে ২০৪০ সালে দেশ হবে পথশিশুমুক্ত। এ ছাড়া প্যারেন্টিং ও ফ্যামিলি ম্যানেজমেন্টে সচেতনতায়ও কাজ করতে চাই।'