‘অঘটন’ এবং ‘ছাতার নিচে বিশ্বকাপই’ বটে। গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিদায় নিয়েছে। শ্রীলঙ্কা হেরেছে নামিবিয়ার কাছে। মূল পর্বেও অঘটন দুটি। পাকিস্তানকে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ইংল্যান্ড হেরেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে তিন ম্যাচ। বৃষ্টি আইনে ফল হয়েছে তিনটি। 

অঘটন ঘটানোর কিংবা বৃষ্টিতে হিসাব-নিকাল বদলে যাওয়ার শেষ দিন রোববার। যেখানে মাঠে নামবে গ্রুপ টু-এর ছয় দল। চার দলের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। অঘটন ঘটাতে সমীকরণের জটিল অঙ্ক মিলতে হবে। বারবার অঙ্কে করতে হবে কাটাকাটি। যা কিছু ঘটেও তো যেতে পারে!

ওই যা কিছু ঘটে যাওয়ার আশায় আছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। দুই দল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা) মুখোমুখি হবে। দু’দলেরই অবশ্যই জিততে হবে এবং তার আগে পরে মাঠে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের হার প্রত্যাশা করতে হবে।    

নেট রান রেটে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজয় ভিন্ন চাওয়ার তেমন কিছু নেই। কারণ বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে গেলেও তারা একটি পয়েন্ট পাবে এবং বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হটিয়ে চলে যাবে সেমিফাইনালে। ওই ম্যাচে প্রার্থণা কবুল না হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতের বড় পরাজয় চাইতে হবে। 

সমীকরণটা পাকিস্তানের জন্য একটু সহজ। জিম্বাবুয়ের কাছে ভারত হারলে এবং বাংলাদেশকে তারা হারাতে পারলেই উঠে যাবে সেমিফাইনালে। যদিও মুখে বলার মতো কাজটা ঘটে যাওয়া সহজ নয়। 

গ্রুপের শেষ এই ম্যাচে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সেরা ক্রিকেট খেলার বার্তা দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অঘটনের মতো দ্বিতীয় ঘটনার সাক্ষী তারা হতে চায় না। শান মাসুদের মতে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভারতকে কাঁপিয়ে দিতে পারলে পাকিস্তান কেন নয়? 

তবে মুখে যা-ই বলুক বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের লক্ষ্য নিশ্চয় ভিন্ন। সেমির আশা এক পাশে রেখে পাকিস্তান ম্যাচে ফেবারিট হিসেবে এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারটা নিতান্তই ‘অঘটন’ প্রমাণের জন্য নামবে। বাংলাদেশ খেলবে তারা লড়াকু এবং ভালো দল হওয়ার পথে আছে সেটা প্রমাণ করতে। ভিন্ন কিছু হলে দু’দলের জন্যই আসরটি ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হবে। 

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: নাজমুল শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, ইয়াসির রাব্বি, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। 

পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহিন আফ্রিদি, ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ, নাসিম শাহ।