- খেলা
- 'আমি এখানে জন্মেছি, এখানেই মরব'
'আমি এখানে জন্মেছি, এখানেই মরব'

জেরার্ড পিকে
প্রায় ২৫ বছর বার্সার সঙ্গে কাটিয়েছেন জেরার্ড পিকে। যে শহরে তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং ফুটবলের প্রেমে পড়া- সেই শহরের মায়া যেন কিছুতেই ছাড়তে চাইছেন না। তবু এটাই যে নিয়ম-নিয়তি। সব শুরুর যেমন শেষ থাকে, ফুটবলেও তাই। তবে পিকের শেষটা হয়েছিল ব্যতিক্রম। হয়তো তিনি অন্যভাবে চেয়েছিলেন বিদায় নিতে। যাক সেটা হয়নি। সে জন্য হয়তো যাওয়ার বেলায় এতটা আবেগি।
আগেই ঘোষণা দেন, শনিবার রাতে আলমেরিয়ার বিপক্ষেই খেলবেন শেষ ম্যাচ। অবশ্য শেষটা জয় দিয়েই রাঙিয়েছেন পিকে। সতীর্থরাও চেয়েছিলেন এমন একজনকে কিছুটা হলেও খুশি করতে। সেই চাওয়াটা পূর্ণ হয়েছে। আলমেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার টেবিলের শীর্ষেই পা রাখল বার্সা।
এর পর পিকেকে বিদায় দেওয়ার পালা। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে পিকের মুখে যেন পড়ল তালা। একটা কথাও বের হচ্ছে না। তবে চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে। কয়েক সেকেন্ড পর সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে কথা বলা শুরু করেন পিকে, 'শুরুতে আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার সব সতীর্থ, স্টাফ, আশপাশের মানুষ- যাঁরা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রতিদিনের কঠিন কাজটা সহজ করে সাহায্য করেছেন। ধন্যবাদ তাঁদের। বার্সা বোর্ডকেও ধন্যবাদ।'
এর পরই আবেগি বার্তা, ছেড়ে গেলেও আবার ফিরে আসার কথাই জানালেন পিকে। বললেন, 'আমি এখানে জন্মেছি, এখানেই মরব। যখন আপনার বয়স হবে, অনুভব করতে পারবেন; মাঝেমধ্যে ভালোবাসার বন্ধনও ছেড়ে যেতে হয়। আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে আবারও এখানে ফিরে আসব।'
বার্সার হয়ে ৩০টি শিরোপা জেতেন পিকে। হয়তো সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। মাঠের বাইরে বিতর্ক, মাঠে অফফর্ম। সব মিলিয়ে বার্সার কর্তারাও তাঁর ওপর নাখোশ ছিলেন। এমন পরিবেশ টের পেয়েই বিদায় বলে দিলেন পিকে। বিদায় বললেও এই ক্লাবে ফেরার আকুতিটা রেখেই গেলেন তিনি, 'এই ক্লাবকে আমি ভালোবাসি। যে কারণে মনে হয়েছে এটাই চলে যাওয়ার আদর্শ সময়। তবে এই যাওয়া মানেই বিদায় নয়।'
মন্তব্য করুন