
বিশ্বকাপ সহজ বিষয় না। এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি দলই শক্তিশালী। সবাই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিতে আসে। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে চুলচেরা বিশ্নেষণ করে, পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামে। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, স্নায়ুচাপ সামলানো ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা। এ ক্ষেত্রে যারা এগিয়ে থাকে, শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ট্রফি তাদের ঘরেই যায়। আমার বিশ্বাস রয়েছে, তিতের শিষ্যরা ফেভারিটের চাপ ভালোভাবেই সামলে নিতে পারবে।
ব্রাজিলের বর্তমান দলটি সবারই সমীহ আদায় করছে। অনেকেই কাতার বিশ্বকাপ আসরে ব্রাজিলকে ফেভারিট বলছেন। যদিও আরও অনেক দল রয়েছে, যারা ফেভারিট তালিকায় রয়েছে। তবে সবার চেয়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছে ব্রাজিলকেই। আমরা যখন বিশ্বকাপে অংশ নিতে গিয়েছিলাম, তখন কিন্তু ফেভারিট ছিলাম না। এবার দলটির প্রতি অনেকেই আস্থা রাখছেন।
সেলেকাও দলকে কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি যে চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে সেটি হলো, দীর্ঘ সময় ধরে টুর্নামেন্টের ট্রফি না জেতা। ২০০২ সালে ট্রফি জয়ের পর ২০ বছর ধরে আর জিততে পারেনি ব্রাজিল। আমাদের দলটিই সর্বশেষ ব্রাজিল ফুটবল হেডকোয়ার্টারে (ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন ভবনে) বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ছবি তুলতে পেরেছে। তিতের শিষ্যদের এখন দারুণ সময় যাচ্ছে। টুর্নামেন্টে ঘুরে দ এবং শিরোপা জিতে ব্রাজিলের মানুষকে খুশি করার এটাই মোক্ষম সময়।
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল নিয়ে আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী। বিশ্বকাপ আসরে ব্রাজিল ফুটবল দল সেটা নারী বা পুরুষ দল যাই হোক, সব সময়ই বড় প্রত্যাশা নিয়েই যায়। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই ব্রাজিল দলকে ঘিরে সব সময় একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। কাতারে দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই শারীরিক দিক থেকে দারুণ ফিট। দেখা যাক, ব্রাজিল এবার বিশ্বকাপ জিততে পারে কিনা?
ফুটবলারদের বুঝতে হবে (ব্রাজিলের) মানুষকে খুশি করার একমাত্র পথ হচ্ছে দারুণ একটি বিশ্বকাপ উপহার দেওয়া। টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের আনন্দময় সময় কাটাতে হবে এবং ব্রাজিলের মানুষের জন্য খুশির বার্তা দিতে হবে। কারণ, ব্রাজিলের মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে ফুটবল। আমরা অনেক দিন বিশ্বকাপ জিতিনি। এখন সময় এসেছে বিশ্বকাপ জেতার, ট্রফি আবার ঘরে আনার। এটা হবে ব্রাজিলের ফুটবলের জন্য দারুণ একটি মুহূর্ত। নেইমাররা যে বিশ্বকাপের ফেভারিট- ব্রাজিল গণমাধ্যমকে সে বার্তাটা দেশের জনগণের কাছে ভালোভাবে পৌঁছে দিতে হবে। এ মুহূর্তে ব্রাজিল দলের ইতিবাচক দিকগুলো ফোকাস করে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন