অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে চমৎকার সূচনার পাশাপাশি অভিশাপ মোচন করেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এবার তাদের সামনে নকআউট নিশ্চিত করার সুবর্ণ সুযোগ। আজ ডেনমার্ককে হারাতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে ফরাসিরা। ফ্রান্স অধিনায়ক হুগো লরিস জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ডেনমার্ককে কঠিন প্রতিপক্ষের মর্যাদা দিলেও তাদের জন্য দারুণ কিছু অপেক্ষা করছে বলেও মনে করছেন লরিস।

যদিও এ বছরই দু'বার ডেনমার্কের কাছে হেরেছে ফ্রান্স। তবে বিশ্বকাপ বলেই আত্মবিশ্বাসী লরিস, 'অবশ্যই ডেনমার্ক বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি দল, কিন্তু সেগুলো ছিল অন্য টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপ বলেই আমরা সতর্ক ও অনুপ্রাণিত। পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য এ ম্যাচের গুরুত্ব কতটা, সেটা আমরা বেশ ভালো মতোই বুঝি। আগামীকালের (শনিবার) ম্যাচের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।' বিশ্বকাপে অবশ্য দু'দলের সর্বশেষ দুই মোকাবিলায় ফ্রান্স জিতেছিল। আগের ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজ। তাঁর জায়গায় আজ তাঁরই ভাই থিও হার্নান্দেজ নামতে পারেন। তারকা ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানেও ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করেছেন। তাই রক্ষণ নিয়ে চিন্তা কিছুটা কমেছে ফরাসিদের। সেরা একাদশের ছয়জন ছিটকে গেলেও ফ্রান্স নির্ভার আছে স্ট্রাইকার অলিভার জিরুদ গোল পাওয়ায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে ফ্রান্সের পক্ষে থিয়েরি অঁরির সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। আজ রেকর্ডটার মালিকানা এককভাবে নিজের করে নেওয়ার সুযোগ জিরুদের সামনে। আজ জিততে পারলে ফ্রান্সের দ্বিতীয় রাউন্ডই কেবল নিশ্চিত হবে না, দিনের অপর ম্যাচে তিউনিসিয়া যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ড্র করে, তাহলে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়ে যাবে। অথচ গত পাঁচ বিশ্বকাপের চারটিতেই চ্যাম্পিয়নরা পরের আসরে হার দিয়ে শুরু করত এবং প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যেত।

ফ্রান্স জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও ডেনমার্ক প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল। আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে খুব একটা ভালো ফুটবল খেলতে পারেনি ডার্কহর্স হিসেবে বিবেচিত হওয়া ডেনমার্ক। তাদের আক্রমণভাগ আলো ছড়াতে পারেনি আগের ম্যাচে। ডেনিশ প্লেমেকার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন কয়েকবার ঝলসে উঠলেও বাকিরা নিষ্প্রভ ছিলেন। গত বছর ইউরোতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার পর বিশ্বকাপ দিয়েই বড় টুর্নামেন্টে ফিরেছেন এরিকসেন। আজও তাঁর ওপরই নির্ভর করছে ডেনিশদের সম্ভাবনা। ফ্রান্সের বিপক্ষেও যদি তারা জিততে না পারে, তাহলে তাদের নকআউটে যাওয়া হুমকির মুখে পড়ে যাবে।