শিক্ষার মান অর্জনে অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান রক্ষায় আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। সিলেবাস যেন সমসাময়িক বিশ্বে চাহিদাভিত্তিক হয়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পেশাগত ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দেশে কৃষি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এখন শিক্ষার মান অর্জনের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

বুধবার সকালে নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে 'টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিক কৃষি জ্ঞান' শীর্ষক বৈজ্ঞানিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিশন-২০২১ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান। দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। ৭৭ শতাংশের বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বিদ্যুতের উৎপাদন আজ ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি এখন ৭ শতাংশের কাছাকাছি। দেশের মানুষের দারিদ্র্য নিরসন, ক্ষুধামুক্তি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বর্তমান প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা খুবই জরুরি।

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) ট্রেজারার অধ্যাপক সারোয়ার আকরাম আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী। কনফারেন্সে স্বাগত জানান খুকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. তাসলিম হোসেন এবং ধন্যবাদ জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. এম এ হান্নান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিয়ারিং ইনিস্টিউটের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল ইসলাম। প্ল্যানারি সেশনে লেকচার উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুল হক। সম্মেলনে তিনটি আলাদা টেকনিক্যাল সেশন ও একটি পোস্টার সেশনে মোট ৪২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।