'সি ইউ পাপা'- এর বাংলা করলে দাঁড়ায় 'দেখা হবে বাবা'। কিন্তু রদ্রিগোর এই টুইটের মর্মার্থ কি কেবল পিতার সঙ্গে সাক্ষাতের আকুতি? নাকি পিতাকে যুদ্ধের ময়দানে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া? দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর লুকা মডরিচকে এমন টুইট নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধের দামামা। আজ দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে দু'দল মুখোমুখি হওয়ার আগে রদ্রিগোর টুইট ভালোই কৌতূহল জাগিয়েছে।

এই টুইটের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের ঐতিহ্যবাদী সাদা জার্সি পরা দু'জনের একটি ছবিও যুক্ত করেছেন ২১ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। সে ছবিতে রদ্রিগোকে জড়িয়ে ধরে কপালের ডান পাশে চুমু খাচ্ছেন মডরিচ। ২০২১-২২ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির বিপক্ষে জয়ের পর তোলা ছবিটি। সে ম্যাচে মডরিচের পাসে দারুণ একটি গোলও করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান এ তরুণ। এই ছবিতেই বোঝা যায় রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকার সম্পর্কটা। বয়সের ফারাক থাকলেও দু'জনের মাঝে বেশ ঘনিষ্ঠতা। তবে এই ঘনিষ্ঠতায় বন্ধুত্বের চেয়েও অভিভাবকত্ব বেশি। ৩৭ বছর বয়সী মডরিচ রিয়াল মাদ্রিদে অভিভাবকের মতোই গাইড করেন রদ্রিগোকে। সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ এ ব্রাজিলিয়ান যেন বিগড়ে যেতে না পারেন, সে কারণেই নাকি তাঁকে দেখেশুনে রাখেন মডরিচ। রদ্রিগোও একান্ত বাধ্যগত ছাত্রের মতো তাঁর আদেশ-নির্দেশ-পরামর্শ বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে চলেন। এ কারণেই দু'জনের সম্পর্কটা অনেকটা বাবা-ছেলের মতো। টুইটে সেটা প্রতিষ্ঠিতও করেছেন রদ্রিগো।

গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের চালিকাশক্তি ছিলেন এই দু'জন। তাঁদের যুগলবন্দিতেই গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা জিতেছে রিয়াল। পুরো মৌসুমে রিয়ালের হয়ে দু'জনের গোল ও অ্যাসিস্টের সংখ্যা ৩৪টি। সেই প্রিয় মানুষটি এবার তাঁর প্রতিপক্ষ। রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্রোয়েশিয়া দলেরও মেরুদণ্ড মডরিচ। তাই আজ রদ্রিগোকে রুখতেই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবেন তিনি। এত দিনের অভিভাবক আজ দেয়াল হয়ে দাঁড়াবেন সামনে। ব্রাজিলের আক্রমণভাগের আরেক তরুণ ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গেও মডরিচের সম্পর্কটা দারুণ। আজ তিনিও অভিভাবককে মোকাবিলার অনুভূতি নিয়ে মাঠে নামবেন। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এদার মিলিতাওয়েরও একই অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে।