- খেলা
- তাদেরও নায়ক হওয়ার সুযোগ
তাদেরও নায়ক হওয়ার সুযোগ

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ - অ্যান্ড্রিয়েস নোপাট
নকআউট মানে দুই গোলকিপারেরও লড়াই। কারণ বাঁচা-মরার ম্যাচে কোনো দলই হারতে চায় না। শেষ মিনিট অবধি চেষ্টা করে এগিয়ে থাকতে। এমন যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে নির্ধারিত সময়ে ফল নাও আসতে পারে। তেমনটা হলে টাইব্রেকার ছাড়া কোনো পথ নেই। আর টাইব্রেকার মানেই গোলকিপারদের পরীক্ষা। দুরুদুরু বুকে প্রতিপক্ষ দলের শুটারকে আটকানোর জন্য যত রকম কৌশল আছে, সেটা প্রয়োগ করেন।
দিনশেষে তবু এক গোলকিপারকে পরাজয়ের তিক্ততা মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। আরেকজন হয়তো নায়ক বনে যান। এবার সেই কঠিনকে জয় করার সুযোগ নেদারল্যান্ডস গোলকিপার অ্যান্ড্রিয়েস নোপাট ও আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সামনে। শুধু টাইব্রেকার নয়, পুরো ৯০ মিনিটে বহু আক্রমণ থামানোর ঢাল থাকবে তাদের হাতে। যেখানে নোপাটের চেয়ে খানিকটা এগিয়ে রাখা যায় মার্টিনেজকে।
অভিজ্ঞতা বলি আর পারফরম্যান্স- দু'দিকের পাল্লা ভারি আর্জেন্টিনার গোলকিপারের। অল্পদিনে আকাশি-সাদাদের হয়ে আলো কেড়েছেন তিনি। জিতেছেন কোপা আমেরিকার শিরোপা। ক্লাব ক্যারিয়ারেও ছড়াচ্ছেন দ্যুতি। এখন পর্যন্ত ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২৫২ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন মার্টিনেজ। যেখানে গোল হজম করেন ২৮৭টি। বিপরীতে ৮৯ ম্যাচে ক্লিনশিট বজায় রাখেন তিনি।
অন্যদিকে পেশাদার ক্যারিয়ারে ১১২ ম্যাচে অংশ নেওয়া নোপাটের ক্লিনশিট ৩১টি। এই সময়ে তিনি গোল হজম করেন ১৫৬টি। আরেকদিক থেকেও এগিয়ে মার্টিনেজ। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১০টি পেনাল্টি সেভ করেছেন। যেটা নকআউটের মতো মঞ্চে তাকে হয়তো বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। যেখানে নোপাটের পেনাল্টি সেভের রেকর্ড নেই বললেই চলে। সব মিলিয়ে পাঁচটি পেনাল্টি থেকে গোল হজম করেন তিনি। আর পেনাল্টি রুখে দেন মাত্র একটি।
তবে চলমান বিশ্বকাপে নোপাট আছেন দারুণ ছন্দে। যেটা মেসিদের জন্য মোটেও স্বস্তির নয়। এখন পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ আর শেষ ষোলোর ম্যাচ মিলিয়ে চার ম্যাচে নোপাট গোল ঠেকিয়েছেন ১৫টি। যেখানে মার্টিনেজ গোল আটকান দুটি। অবশ্য তার কাছে সেভাবে বলও যায়নি।
মন্তব্য করুন