সেমিতে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। এই ২ গোলের একটিও কিলিয়ান এমবাপ্পে করেননি, তার পরও তিনিই জয়ের নায়ক। দুটি গোলই এসেছে তাঁর পাস থেকে। এর মধ্যে দ্বিতীয় গোলটি এমবাপ্পে যেভাবে বানিয়ে দিয়েছেন, সেটা ফুটবলপ্রেমীদের চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন।

নির্ধারিত সময়ের মিনিট দশেক আগে দেখা মেলে এমবাপ্পের সেই দৃষ্টিনন্দন অ্যাসিস্টের। মাঠের ঠিক মাঝখানে মরক্কোর একজনের ভুল পাসে বল পেয়েছিলেন চুয়েমেনি। তিনি পাস দেন এমবাপ্পেকে। চকিতে দারুণ একটি বাঁক নিয়ে তিনি বল দেন আগুয়ান থুরামকে। মরক্কোর বক্সের ভেতরে ঢুকে থুরাম ব্যাক পাস দেন এমবাপ্পেকে। তিনি যখন বলটি ধরেন, মরক্কোর পাঁচজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে জাদুর মতো প্রতিপক্ষের তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটান তিনি। সামনে থাকা অন্যদের পায়ের ফাঁক দিয়ে বলটিকে পোস্টেই মেরে ছিলেন তিনি। কিন্তু বল মরক্কোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে সোজা চলে যায় ডান দিকে দাঁড়ানো কোলো মুয়ানির কাছে। মাত্রই মাঠে নামা মুয়ানি প্রথম স্পর্শেই গোল পেয়ে যান। এই গোলটির পুরো কৃতিত্ব এমবাপ্পের। বিশেষ করে তিনি তখন মরক্কোর বক্সে যে জাদুটা দেখান, তা ছিল বিশেষ কিছু।

প্রথম গোলটির উৎসও এমবাপ্পেই। খেলার পঞ্চম মিনিটে গ্রিজম্যানের উদ্দেশে বল বাড়িয়ে ছিলেন ভারানে। গ্রিজম্যান একটু এগিয়ে বল দেন সামনে থাকা এমবাপ্পেকে। তিনি বল ধরে দু'বার শট দিলেও তা মরক্কোর ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে আটকে যায়। তবে ফিরে আসা দ্বিতীয় শটটি চলে যায় বাঁ প্রান্তে থাকা থিও হার্নান্দেজের কাছে। তিনি কিছুটা লাফিয়ে বাঁ পায়ের সাইড ভলিতে মরক্কোর জালে বল জড়িয়ে দেন। ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপের সেমিতে এটাই দ্রুততম গোল।