- খেলা
- বাবাও পরেছেন আকাশি-সাদা, অ্যালেক্স জিতলে জিতবেন কার্লোসও
বাবাও পরেছেন আকাশি-সাদা, অ্যালেক্স জিতলে জিতবেন কার্লোসও

আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার। ছবি: ফাইল
জোড়া স্বপ্ন নিয়ে ছুটছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার। তার বাবা ছিলেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার। নাম কার্লোস ম্যাক অ্যালিস্টার। জাতীয় দলের হয়ে লেফট ব্যাক পজিশনে ১৯৯৩ সালে খেলেছেন তিন ম্যাচ। তবে আর্জেন্টিনস জুনিয়র্সে ছয় বছর, বোকা জুনিয়র্সে চার বছর এবং রেসিং ক্লাবে খেলেছেন দুই বছর। সেই হিসেবে সফল ক্লাব ক্যারিয়ার বলা চলে।
প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করেছেন কার্লোস। তার ছেলে অ্যালেক্স মার্ক অ্যালিস্টার। মেসির সঙ্গে দারুণ সমন্বয়ের কারণে এরই মধ্যে প্রশংসা পেয়েছেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই যিনি স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে। হুট করে বদলে যাওয়া ক্যারিয়ার চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার পথে। তিনি জিতলে জিতে যাবেন তার বাবাও।
অ্যালিস্টারের ক্যারিয়ারও বাবার মতো শুরু আর্জেন্টিনস জুনিয়র্সে। এরপর ইংলিশ ক্লাব ব্রাইটনের সঙ্গে চুক্তি করে বোকা জুনিয়র্সে ধারে খেলছিলেন তিনি। চলতি মৌসুমে দারুণ খেলে ব্রাইটনে যোগ দিয়েছেন অ্যালিস্টার। মৌসুমের ১২ ম্যাচেই খেলেছেন তিনি। অধিকাংশ ম্যাচেই ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন। মিডফিল্ড সামলে করেছেন পাঁচ গোল।

সেটাই তাকে আর্জেন্টিনার দলে জায়গা দিয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে নয় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে কাতারে আসেন তিনি। মিডফিল্ডার লো চেলসো ইনজুরিতে ছিটকে না গেলে তার খেলার সম্ভাবনা কম ছিল। কারণ ‘আর্জেন্টাইন সিস্টেম’ অনেকটা নির্ভর করতো লো চেলসোর ওপর। তবে অ্যালিস্টার সুযোগ পেয়ে এক গোল করে, মেসি-এনজোর সঙ্গে সমন্বয় করে মন কাড়া খেলা উপহার দিয়েছেন।
তার বাবা তাই ছেলের ফাইনালে খেলার এবং শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কার্লোস অ্যালিস্টার সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি’কে বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার মানুষ বিশ্বকাপ উপভোগ করছে, আমাদের পরিবারও উপভোগ করছে। কারণ অ্যালিস্টার দলে ভূমিকা রাখছে। আমরা তার বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। কারণ ক্লাবে সে খুব ভালো সময় পার করছিল।’
কার্লোসের মতে, ছেলের ভালো গুন হলো ঠান্ডা মাথায় খেলতে পারা। তার ছেলে বেশ লাজুক। সেটাও নাকি তাকে পারফরম্যান্স করতে সহায়তা করছে, ‘ম্যাচ ধরে রাখার মতো এবং এগিয়ে নেওয়ার পরিপক্কতা আছে ওর। সে খুব ঠান্ডা মস্তিষ্কের, লাজুক এবং স্থির। এটা তার দলকে সহায়তা করছে। কারণ ও চাপে ভেঙে পড়ছে না। ও সবকিছু সহজ হিসেবে দেখছে। কিন্তু বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা, সেরাদের পাশে থাকা সহজ নয়। এটা সে পরে বুঝবে।’
মন্তব্য করুন