কে গড়ে দেবেন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের ভাগ্য! লুকা মডরিচ নাকি হাকিম জিয়াচ? তাঁদের দু'জনের ওপরই নির্ভর করছে আজকের ম্যাচের জয়-পরাজয়। ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠের নেতা মডরিচ। একইভাবে রাইট-উইঙ্গার জিয়াচ মরক্কোর আক্রমণের প্রাণভোমরা। দু'জনই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন।

৩৭ বছর বয়সী মডরিচ ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠের বাঁ পাশে খেললেও পুরো মাঠই দাপিয়ে বেড়ান। আক্রমণ ও রক্ষণের মাঝে তিনি যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেন। তাই ক্রোয়াটদের প্রায় সব আক্রমণ তাঁকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে। পুরো মাঠ চষে বেড়ানোর পাশাপাশি মডরিচের মস্তিস্ক ভীষণ ক্ষুরধার। এই যেমন ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত একটি পাসেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। এমন সব নিখুঁত সৃষ্টিশীল পাস দেন বলেই সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত রিয়াল মাদ্রিদের এ তারকা। বর্ষীয়ান এ খেলোয়াড় আজ শেষ বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নামছেন। নিশ্চিতভাবেই জয় দিয়ে শেষটা রাঙাতে চাইবেন ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার।

মডরিচের মতো এতটা তারকা খ্যাতি না থাকলেও এবারের আসরে দারুণ খেলছেন জিয়াচ। মরক্কোর ইতিহাস গড়ার অন্যতম কারিগর তিনি। চেলসির এ তারকা ইচ্ছে করলেই নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলতে পারতেন। ডাচদের বয়সভিত্তিক দলেও খেলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিতৃভূমিকে বেছে নেন জিয়াচ। রাশিয়া বিশ্বকাপেও তিনিই ছিলেন মরক্কোর আক্রমণভাগের প্রাণশক্তি। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাজে আচরণের অভিযোগ তুলে তাঁকে বাদ দিয়েছিলেন মরক্কোর তৎকালীন কোচ ভাহিদ সালিহোদিচ। তবে বিশ্বকাপের তিন মাস আগে ভাহিদকে বরখাস্ত করে ওয়ালিদ রেগরাগুইকে দায়িত্ব দেয় মরক্কো। কোচ হয়েই জিয়াচকে ডেকে পাঠান রেগরাগুই। কোচের সে আস্থার মূল্য ভালোভাবেই দিচ্ছেন ২৯ বছর বয়সী এ উইঙ্গার। ডান প্রান্ত দিয়ে তিনি ও হাকিমি দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছেন। চলতি বিশ্বকাপের প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের সীমানায় ভীতি ছড়াচ্ছে মরক্কোর এ জুটি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেও দারুণ খেলেছিলেন তাঁরা দু'জন। সে দিন অবশ্য গোল কিংবা অ্যাসিস্ট করতে পারেননি তাঁরা। আজ কী সে আক্ষেপ ঘুচবে?