অভিষেকেই দুর্দান্ত জাকির হাসান। ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়েন সেঞ্চুরির কীর্তি। এছাড়া আরো একটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি, চতুর্থ ইনিংসে মাত্র দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি তার। প্রথম করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন বাইচান। ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোর টেস্টে তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৫ রানে।

তবে সেঞ্চুরির পরপরই বিদায় নিলেন জাকির হাসান। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে স্লিপে কোহলির তালুবন্দী হন তিনি। ২২৪ বলে ১৩ ও ১ ছক্কায় ১০০ রান করেন জাকির। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৫ রানের জুটি।

৮৫.৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২২৯। মুশফিক ২০ ও সাকিব আছেন ১৭ রানে।

এর আগে ৫১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য রেকর্ড ১২৪ রানের জুটি গড়েছেন শান্ত ও জাকির। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটি ছিল বাংলাদেশের। আগের দিন অপরাজিত থেকে চতুর্থদিন শুরু করা শান্ত-জাকির আজ দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি। ১০৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলেছেন শান্ত। ১০১ বলে ফিফটি তুলেন জাকির। 

একটু সময়ের জন্য মনোযোগ হারিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেটারই মাশুল দিলেন উইকেট বিলিয়ে। উমেশ যাদবের বলে খোঁচা মেরে শান্ত ফিরলেন ৬৭ রান করে। তার বিদায়ে ভাঙে ১২৪ রানের রেকর্ড জুটি। এরপর জাকিরকে সঙ্গ দিতে এসে দ্রুতই ফিরলেন ইয়াসির। অক্ষরের বলে কিপারের ক্যাচ হয়ে ফেরার সময় ৫ রান করেন ইয়াসির। লিটন দাসকে ভোগাচ্ছিলেন কুলদীন যাদব। সে চেষ্টায় সফল হয়েছেন ভারতের এই স্পিনার। তার গুগলিতে তুলে মারতে গিয়ে উমেশের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন লিটন। ৫৯ বলে দুই চারে ১৯ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ৪২ রানের জুটি।

বাংলাদেশের আগের সেরা জুটি ছিল এই চট্টগ্রামেই। ২০১০ সালে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস করেছিলেন ৫৩ রান। দুই বাঁহাতি ওপেনার শান্ত ও জাকির সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সামনে।

৫১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য বাংলাদেশের সামনে। ম্যাচ জিততে হলে ভাঙতে হবে অনেক রেকর্ডও। টেস্ট ক্রিকেটের চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৩ রান করেছে বাংলাদেশ। সেটিকেও এবার ছাড়িয়ে যেতে হবে টাইগারদের।