- খেলা
- এমির সংবাদ সম্মেলনে আসার পেছনের ‘রহস্য’
এমির সংবাদ সম্মেলনে আসার পেছনের ‘রহস্য’

সংবাদ সম্মেলনে এমি মার্টিনেজ। ছবি: এএফপি
যেকোন ক্রীড়া আয়োজনে ফাইনালের ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচের সঙ্গে অনুমিতভাবেই থাকেন দলের অধিনায়ক। রোববার ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখেমুখি হবে। ওই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেসিদের কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবে অধিনায়ক লিও মেসি আসেননি। তার বদলে প্রেস সামলাতে আসেন দলটির গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
তার এই সংবাদ সম্মেলনে আসার পেছনে আছে এক ‘রহস্য’। তাকে ‘সৌভাগ্যের প্রতীক’ মনে করা হয়। যেমন- গত বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এমি মার্টিনেজ। ওই ম্যাচে শিরোপা জিতে দীর্ঘ শিরোপা খরা ঘোচায় আলবিসেলেস্তেরা। মেসির হাতে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম শিরোপা ওঠে।
ওই মিথে আর্জেন্টিনা দল পরেও বিশ্বাস রেখেছে। চলতি বছর ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইতালির বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পায় ল্যাতিন দলটি। ঘরে তোলে ফিনালিসিমা। ওই ম্যাচের আগেও সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হয়েছিল অ্যাস্টন ভিলায় খেলা গোলরক্ষক মার্টিনেজকে।

বিষয়টি হয়তো বড় কিছু নয়। ‘কুসংস্কার’ বললেও ভুল হবে না। কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের দল, ফুটবলারদের ওই ‘মিথ’ মেনে চলতে দেখা যায়। ফুটবলে যারা নিয়মিত চোখ রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন, খেলোয়াড় ডান, বাম পা মিলিয়ে মাঠে নামেন। অনেকে ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু একটা বলেন। কেউ উপরের দিতে হাত উচিয়ে, কেউ এক পা তুলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে মাঠে নামেন। অনেক ক্লাবও ছোট ছোট বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখে। রিয়াল মাদ্রিদ যেমন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল যাত্রায় একই পাইলটকে রাখার চেষ্টা করে।
সংবাদ সম্মেলনে এমি মার্টিনেজ নানান বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকা ফাইনালেও ব্রাজিলকে ফেবারিট বলা হয়েছিল। এবার ফ্রান্সকেও ফেবারিট বলা হচ্ছে। তারাও প্রতিপক্ষকে ফেবারিট তকমা দিয়ে দিতে পছন্দ করেন।
এমবাপ্পে চলতি বছর মন্তব্য করেছিলেন ইউরোপের মতো ল্যাতিনের ফুটবল এগোয়নি। জবাবে এমি বলেছেন, না খেললে তারা বুঝবে কী করে, ‘তারা আমাদের বিপক্ষে খেলেনি। নিয়মিত না খেলে দক্ষিণ আমেরিকার দল নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন। না খেললে, মন্তব্য করবেন না। তারা নিশ্চয় জানেন, আমাদের বিশ্বমানের দল আছে। সুতরাং সম্মান করা উচিত।’
ফাইনাল নিয়ে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক বলেছেন, দল ভালো খেললেও তিনি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেন। দল চাপে থাকলেও তিনি চাপে ডুবে যান না। গত বিশ্বকাপে ফ্রান্স যখন আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল তিনি বার্গার খাচ্ছিলেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে কেঁদেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন। তার মতে, ফাইনালে সামান্য টেকনিক্যাল ভুলও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মন্তব্য করুন