জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫ রানে অলআউট পঞ্চগড়
ছবি- বিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪ | ১৩:২৫
ওয়ানডে ম্যাচে ১৫ রানে অলআউট পঞ্চগড়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের বেশ কিছু ম্যাচে ৫০ রানে অলআউটের ঘটনা আছে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। বিসিবির ব্যাখ্যা, ঢাকা থেকে বসে জেলার ক্রিকেট পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।
এ বছর বরগুনা ভেন্যুতে দ্বিতীয় টায়ারে আঞ্চলিক পর্যায়ে খেলছে পঞ্চগড় জেলা দল। গাইবান্ধার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উতড়ে গেলেও কিশোরগঞ্জের কাছে পঞ্চগড় অলআউট হয় মাত্র ১৫ রানে। ৬ মার্চ বরগুনা জেলায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে কিশোরগঞ্জ জেলা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৬ রান করে পাঁচ উইকেটে। ২৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পঞ্চগড় জেলার ১১ জন মিলে করেন ১১ রান। বাকি চার রান আসে অতিরিক্ত থেকে।
এই লজ্জার রেকর্ড গড়া পঞ্চগড় জেলা দলের অধিনায়ক আরিফের কাছে খারাপ খেলার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘১৫ রানে অলআউট হওয়া দুর্ঘটনা বলতে পারেন। এটা খেলারই অংশ। দুর্ঘটনাবশত এটা হয়ে গেছে।’
এ সময় পঞ্চগড় ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে জেলা দলের অধিনায়ক জানান, ‘আমাদের খুব বেশি ভালো খেলোয়াড় নেই। এ ছাড়া পঞ্চগড় জেলা প্রত্যন্ত অঞ্চল। সেন্টার উইকেট তিন বছর হলো পরিচর্যা করা হয় না। জেলায় কোনো লিগ হয় না। এগুলো দেখার কেউ নেই। স্টেডিয়ামে একটা মাছিও থাকে না। খেলোয়াড় কোথায় পাব? জেলার কোচ কোনো কিছু করেন না। আমাকে দায়িত্ব দেওয়ায় গুছিয়ে একটা দল নিয়ে এসেছি। একটু একটু করে আমরা উন্নতি করছি। সামনে ভালো করব।’
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দুই স্তরে খেলা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরে বেশ কিছু ম্যাচে ৫০ রানে অলআউটের ঘটনা আছে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
প্রান্তিক পর্যায়ের এই ক্রিকেট নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিসিবি টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘একটি দল আড়াইশ রান করল, সেখানে প্রতিপক্ষ ১৫ রানে অলআউট হওয়ায় বিস্ময়কর। আমি অবাকই হয়েছি। তবে ঢাকা থেকে বসে জেলার ক্রিকেট পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে সক্রিয় হতে হবে। জেলার ভালো খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠন থেকে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে তাদের।’
- বিষয় :
- পঞ্চগড়
- বাংলাদেশ ক্রিকেট
- বিসিবি