ঢাকা টেস্ট শেষ করে শুক্রবার দিল্লির বিমানবন্দরে নেমেছিলেন ঋষভ পান্ত। সেখান থেকে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন উত্তরাখণ্ডে নিজ বাড়িতে। মাকে ‘সারপ্রাইস’ দিতে গিয়ে স্থানীয় সময় ভোর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। তার গাড়ি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। তিনি কাঁচ ভেঙে প্রাণে বেঁচেছেন। 

এরপর তাকে দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তার বাঁ-পাশের ভ্রু খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় প্লাস্টিক সার্জারি করানো হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঋষভ পান্ত চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। দ্রুত সেরেও উঠছেন।

দিল্লি এবং জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক শায়ান শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঋষভ তার বিলাসবহুল গাড়িটি রাস্তার গর্ত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। সে কারণেই দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। ঋষভ দ্রুত উন্নতি করছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন।

পান্তের পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: ফাইল

গুরুতর দুর্ঘটনায় পড়লেও শরীরের কোন হাঁড় ভাঙেনি ঋষভের। যে কারণে তিনি দ্রুত মাঠে ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পায়ের লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে তিনি। তার চিকিৎসার সুবিধার জন্য এবং কোন প্রকার ইনফেকশনের সংক্রমণ এড়াতে শায়ান শর্মা শুভাকাঙ্খিদের অনুরোধ করেছেন, যেন পান্তকে দেখার জন্য হাসপাতালে ভিড় করা না হয়। 

পান্তের চিকিৎসা চললেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এখন দুর্ঘটনায় কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। পান্ত মদ্যপ ছিলেন কিনা, অধিক গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন কিনা এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত করছেন তারা। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া রুড়কির হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, মদ্যপ থাকলে পান্ত গাড়ি থেকে একা একা বের হতে পারতেন না।