পেলের মৃত্যুর পর আবেগঘন এক পোস্টে নেইমার লিখেছেন, পেলে আসার আগে নাম্বার টেন ছিল কেবল একটা সংখ্যা। পেলে ওই সংখ্যাটাকে বিশেষ স্থানে নিয়ে গেছেন। ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জিতে ওই জার্সি নম্বরকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে স্থান দিয়েছেন কিংবদন্তি পেলে। ক্যারিয়ারের প্রায় সবটা সময় সান্তোসে খেলেছেন তিনি। 

সান্তোসের কাছে নাম্বার টেন জার্সির মর্যাদা তাই আলাদা। ‘ফুটবল রাজা’ পেলের মৃত্যুর পর ওই বিশেষ জার্সি অবসরে পাঠানোর কথা ভেবেছিলেন সান্তোসের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস রুয়েদা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি ক্লাবের নীতি নির্ধারণী কমিটির কাছে পাঠানোর কথাও বলেছিলেন। 

কিন্তু সর্বকালের সেরা খ্যাত পেলের এক সাক্ষাৎকারের জন্য পিছু হটলেন সান্তোসের প্রেসিডেন্ট রুয়েদা। ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জেতা পেলেই নাকি চাইতেন না তার জার্সি অবসরে পাঠানো হোক। কারণ ‘অবসর’ থেকে মানুষের চোখের আড়ালে ‘মৃত্যু’ হতে পারে ওই জার্সির। 

পেলে বলিভিয়ার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওমনটাই নাকি বলেছিলেন। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো দাবি করেছে, পেলে চাইতেন তার জার্সি গায়ে দিয়ে পরবর্তী প্রজন্ম খেলে যাক। যাতে করে তাকে ভুলে যাওয়া না হয়। বিষয়টি উল্লেখ করেন রুয়েদা বলেছেন, ‘পেলের ইচ্ছে অখণ্ডনীয়। আপনি তার বিরুদ্ধে যেতে পারেন না।’