বাফুফে কেন সালাউদ্দিনের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করবে, প্রশ্ন বিএসপিএর

বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বকালের সেরা দশ ক্রীড়াবিদকে পুরস্কৃত করা হয়। যেখানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে প্রথম ও সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার ও বর্তমান বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন দ্বিতীয় হিসেবে বাছাই করে পুরস্কার প্রদান করে বিএসপিএ। তৃতীয় হয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।

কিন্তু পুরস্কার হাতে নেওয়ার পর ওই সম্মাননা সালাউদ্দিনের পক্ষে বাফুফে প্রত্যাখান করেছেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফে দাবি করেছে, কাজী সালাউদ্দিনকে দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার দেওয়া প্রহসনের সমান।

এই ঘটনার পর রোববার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। বাফুফের দেওয়া বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসপিএ জানিয়েছে, 'বাফুফের চিঠিতে এটাকে 'প্রহসনের পুরস্কার' বলা হয়েছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। প্রথমত, বাফুফের কোনো অংশ নয় এটি। এই সম্মাননা সালাউদ্দিনের খেলোয়াড়ি জীবনের কীর্তির জন্য। কিন্তু ব্যক্তির পুরস্কার কী করে বাফুফের নির্বাহী কমিটির বিষয় হয়ে ওঠে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। দ্বিতীয়ত, প্রহসনের পুরস্কার বললে বাকি পুরস্কারপ্রাপ্ত কীর্তিমানদের অসম্মান করা হয়।'

বিএসপিএর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, 'এটা আমাদের জন্য নতুন হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খুবই প্রচলিত সংস্কৃতি। বিএসপিএ অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কাজটা করেছে এবং ক্রীড়াঙ্গনের সেরাদের সম্মান জানাতে পেরে খুশি। আর ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করা ও সম্মান জানানোর ধারা বিএসপিএর অনেক পুরোনো। সেই ১৯৬৪ সাল থেকে বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কার দিয়ে আসছে এবং এটা ক্রীড়াঙ্গনের সর্বপ্রথম, খুবই গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ বলেই বিবেচিত। এটাই আমাদের গর্ব।'