রেকর্ড দামে বেনফিকা থেকে পর্তুগিজ তরুণ জোয়াও ফেলিক্সকে কিনেছিল অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। নতুন রোনালদো খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। ওই ফেলিক্সকে ধারে চেলসির কাছে ছেড়ে দিচ্ছে লা লিগার টপ ফোরে থাকা ক্লাবটি। 

তিনি ব্লুজদের হয়ে চলতি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত খেলবেন। ধারের মেয়াদ শেষে তাকে কেনার কোন শর্ত নেই। তবে চেলসিকে ফেলিক্সের বেতনের ১১ মিলিয়ন ইউরো ও কর পরিশোধ করতে হবে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির। ধারের মেয়াদ শেষে হলে ফেলিক্স ফিরে আসতে পারেন মাদ্রিদে। ধারের মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে। 

ক্লাব ছাড়ার আগে তার সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। পরে যাতে তাকে ফিরিয়ে আনতে কোন বাধার সৃষ্টি না হয় কিংবা তাকে বিক্রি করলে অর্থ তুলে আনতে পারে ডিয়াগো সিমিওনের দল। 

এখন প্রশ্ন হলো, চেলসিতে কোথায় খেলবেন ফেলিক্স। প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে দশ নম্বরে থাকা দলটি গোল স্কোরারের অভাবে ভুগছে। পিয়ারে এমরিক অবামেয়াং প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না। ফেলিক্সকে তাই স্ট্রাইকার পজিশনে খেলানো হতে পারে।

আবার সেকেন্ড স্ট্রাইকার বা নাম্বার টেন পজিশনেও তাকে দেখা যেতে পারে। ফেলিক্স প্লে মেকিং করে খেলতে পছন্দ করেন। ম্যাসন মাউন্ট বা ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের ইনজুরি ও অফ ফর্মজনিত কারণে পর্তুগিজ তরুণ ওই পজিশন নিতে পারেন। এর বাইরে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে তিনি শুরুটা করেছিলেন লেফট উইঙ্গার হিসেবে। ওটাও তার পছন্দের পজিশন। এখন চেলসির কোচ গ্রাহাম পটার তাকে কীভাবে খেলান তার সেরাটা বের করে আনতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।