
ঢাকা লিট ফেস্টের সমাপনী সন্ধ্যায় কনসার্টে দর্শকের ভিড়, ছবি ::সাজ্জাদ হোসেন
সাদাফ সায্, কাজী আনিস আহমেদ এবং আহসান আকবার; ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক। ঢাকা আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের শুরু থেকেই তিনজন একসঙ্গে যুক্ত আছেন এর সঙ্গে। এবারের দশম উৎসবের নানা দিক নিয়ে তিন পরিচালক কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আশিক মুস্তাফা
-করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে দশমবারের মতো এমন একটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেছেন। কেমন মনে হয়েছে এবারের আয়োজন?
কাজী আনিস আহমেদ: দু'বছর পর ফিরতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এবার একজন নোবেল বিজয়ী লেখক আবদুলরাজাক গুরনাহ- সহ বেশ ক'জন আইকনিক ফিগার যেমন, অমিতাভ ঘোষ বা নুরুদ্দিন ফারাহ আসছেন-এটা বড় ব্যাপার। এছাড়াও ২০২২ সালের বুকার পুরস্কার প্রাপ্ত দুজন লেখক এসেছেন। একজন হলেন শেহান কারুনাতিলাকা এবং আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করা গীতাঞ্জলি শ্রী। দুই বছরের বিরতির পরও আমরা যে একটা বড় লাইনআপ নিয়ে আসতে পারছি এটা সত্যি খুব আশাজাগানিয়া। আমরা আশা করি আমাদের পাঠক শ্রোতারাও গভীর আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে এই অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছেন এবং তা উপভোগ করেছেন।
- উৎসবটি এখন কেবল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় সাহিত্য আয়োজন নয় বিশ্বের সেরা দশটি সাহিত্য আয়োজনের একটি। বাংলাদেশের সাহিত্যকে ঘিরে সাহিত্যের এমন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কীভাবে দেখছেন বিশ্বসাহিত্য-জগতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাহিত্যচর্চা?
সাদাফ সায্: আমাদের গোড়া থেকে একটা বিশ্বাস ছিল, বাংলাদেশের পাঠক শ্রোতারা বিশ্বের সেরা লেখক শিল্পী ও চিন্তাবিদদের কথা শুনতে চাইবেন। তাই সেরাদের সেরা যারা তাদের আনতে চেষ্টা করেছি। আমাদের সাহিত্য অত্যন্ত অত্যন্ত উঁচু মানের। কিন্তু বিশ্বের কাছে সেভাবে পৌঁছাতে পারার নানান প্রতিবন্ধকতা আছে। আমরা চেষ্টা করি লিট ফেস্টের মাধ্যমে সেই সংযোগের একটা চমৎকার সুযোগ করার। এবারও আশা করি তা পেরেছি!
-সাহিত্যের বাইরে সৃজনশীল মাধ্যমের অনেকেই যুক্ত হয়েছেন এবার। ছিলো নতুনত্বও; সমসাময়িক বিষয়-আশয় আর দেশীয় শিল্পী-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণটাকে কীভাবে দেখছেন?
আহসান আকবার: লিট ফেস্টে ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষারই সেশন ছিলো। এই আয়োজনগুলো পাঠক ও সাহিত্যিকরাও পছন্দ করেন। দেশের সাহিত্যিক, শিল্পীদের অনেক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এটা খুবই অসাধারণ ব্যাপার। এবার বাংলাদেশের অনেক প্রতিভাবান শিল্পীরাও অংশ নিচ্ছেন। বিদেশ থেকে যদি বলি, তাহলে টিল্ডা সুইনটন এসেছেন। এবার নতুনত্ব হলো, শিশুদের আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। তাদের জন্য বেশ কিছু সেশন ছিলো। যার মধ্যে পাপেট শো, গল্প বলার সেশন, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি।
- প্রতিবার এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও এ বছর ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ছাড়া সবার জন্য তিন ক্যাটাগরিতে টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছেন; এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকটা কীভাবে দেখেন?
কাজী আনিস আহমেদ: যে কোনো উদ্যোগেরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রভাবই থাকে। তাই বলে উদ্যোগকে থেকে থাকলে চলবে না। হে ফেস্টিভ্যাল যখন শুরু হয়েছিল, তখনও অনেকে সমালোচনা করেছেন। যে কোনো সমালোচনার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আর টিকিট ব্যবস্থায় যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ঢাকা লিট ফেস্টকে টেকসই করা। লিট ফেস্ট এতদিন করপোরেট স্পন্সরশিপ ও কিছুটা সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর করে চলেছে। অনেকে কিন্তু এই নির্ভরতার সমালোচনা করেছেন। আমরা মনে করি কোনও এক ধরনের উৎসের বদলে একাধিক সমানুপাতিক অর্থ সংকলনের উপায় আয়োজনটিকে আরও টেকসই করবে। এছাগা একটা আদর্শের ব্যাপারও আছে। পাঠক শ্রোতারা টিকেট কাটার মধ্য দিয়ে লেখকদের সম্মানী প্রদানে সাহায্য করবেন। আমরা আশাবাদী যে লেখকদের এই সম্মান দেখাতে পারার বিষয়টি অধিকাংশ সাহিত্যানুরাগীই ইতিবাচকভাবে দেখবেন। এটাই আন্তর্জাতিক রীতি। বিশ্বের প্রায় সব বড় ফেস্টিভালেই টিকেট কেটে ঢুকতে হয়। আমরা মনে করি আমাদের পাঠক শ্রোতারা সেই মানদণ্ডে চলতে প্রস্তুত।
- তরুণরা সব সময়ই পরিবর্তনের পক্ষে। তাছাড়া এখন তারা অনলাইনের বদৌলতে সহজেই পড়তে পারছে বিশ্বসাহিত্য। এই আয়োজনে এসে তারা খুঁজে পাচ্ছে প্রিয় লেখকদের। পেয়েছিল ভি এস নাইপল আর আদোনিসদের। এবার সেই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়েছেন ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখক আবদুলরাজাক গুরনাহ, অমিতাভ ঘোষ, নুরুদ্দিন ফারাহ ও ২০২২ সালের বুকার পুরস্কার প্রাপ্ত শেহান কারুনাতিলাকা ও গীতাঞ্জলি শ্রীদের। এসব লেখকদের অংশগ্রহণটাকে কীভাবে দেখছেন?
সাদাফ সায্: এবার সবচাইতে বড় আকর্ষণ আবদুলরাজাক গুরনাহ। তিনি ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখক। নোবেল পাওয়ার পর তিনি এই প্রথম এমন কোন অনুষ্ঠানে এলেন। আসলে আমাদের মেধার পরিচয় বিশ্বকে দিতে চাই এই উৎসবের মাধ্যমে। আমরা অবশ্যই আমাদের মেধাবী শিল্পী ও সাহিত্যিকদের এবং তাদের কাজগুলোকে সীমানার বাইরে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে দেশের বাইরে লেখকদের সঙ্গে তরুণদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর এটিই এই আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। তাছাড়া আমরা নিয়মিত বাংলাদেশি সাহিত্যিকদের বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ করে আসছি।
- লিট ফেস্ট নিয়ে আগামীর পরিকল্পনা কী?
আহসান আকবার: বাংলা ভাষায় এত বিশাল কাজ হয়ে গেছে, এত বড় বড় সাহিত্যিক তাদের কিংবন্তিতুল্য সৃষ্টি রেখে গেছেন; তাহলে কেন শুধু একটি বৈশ্বিক যোগাযোগের অভাবে আমরা পিছিয়ে থাকব! বাংলাদেশের সমসাময়িক লেখকরাই বা কেন 'বাংলাদেশি লেখক' হিসেবে বিশ্বসাহিত্য-জগতে যথাযোগ্যভাবে দাঁড়াতে পারবে না! ১৫টি দেশের দুই শতাধিক আলোচক, শিল্পী-সাহিত্যিক, প্রকাশক এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। ভবিষ্যতে বিশ্বের নানা অঞ্চলের সাহিত্যিকদের সঙ্গে এ আদান-প্রদান অব্যাহত থাকবে।
সামনে বছরব্যাপী সারাদেশে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজনের চিন্তা আছে।
শিশুদের নিয়ে আরও বিচিত্র আয়োজন করতে চাই। তাদের আরও বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। দশ বছরের এ আয়োজন আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছে। আগের চেয়ে ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছি। দর্শক-শ্রোতারা কী চাচ্ছেন, কোন কোন বিষয় তারা বেশি পছন্দ করেছেন-এসব বুঝে নিয়ে সে অনুযায়ী আমরাও আয়োজন সাজাতে চেষ্টা করবো। আর এ পদ্ধতি আয়োজনকে শক্তিশালী করে তুলবে বলে আমরা আশাবাদী।
- আপনাদের ধন্যবাদ।
কাজী আনিস আহমেদ, আহসান আকবার ও সাদাফ সায্: কালের খেয়ার পাঠক এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।
-করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে দশমবারের মতো এমন একটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেছেন। কেমন মনে হয়েছে এবারের আয়োজন?
কাজী আনিস আহমেদ: দু'বছর পর ফিরতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এবার একজন নোবেল বিজয়ী লেখক আবদুলরাজাক গুরনাহ- সহ বেশ ক'জন আইকনিক ফিগার যেমন, অমিতাভ ঘোষ বা নুরুদ্দিন ফারাহ আসছেন-এটা বড় ব্যাপার। এছাড়াও ২০২২ সালের বুকার পুরস্কার প্রাপ্ত দুজন লেখক এসেছেন। একজন হলেন শেহান কারুনাতিলাকা এবং আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করা গীতাঞ্জলি শ্রী। দুই বছরের বিরতির পরও আমরা যে একটা বড় লাইনআপ নিয়ে আসতে পারছি এটা সত্যি খুব আশাজাগানিয়া। আমরা আশা করি আমাদের পাঠক শ্রোতারাও গভীর আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে এই অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছেন এবং তা উপভোগ করেছেন।
- উৎসবটি এখন কেবল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় সাহিত্য আয়োজন নয় বিশ্বের সেরা দশটি সাহিত্য আয়োজনের একটি। বাংলাদেশের সাহিত্যকে ঘিরে সাহিত্যের এমন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কীভাবে দেখছেন বিশ্বসাহিত্য-জগতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাহিত্যচর্চা?
সাদাফ সায্: আমাদের গোড়া থেকে একটা বিশ্বাস ছিল, বাংলাদেশের পাঠক শ্রোতারা বিশ্বের সেরা লেখক শিল্পী ও চিন্তাবিদদের কথা শুনতে চাইবেন। তাই সেরাদের সেরা যারা তাদের আনতে চেষ্টা করেছি। আমাদের সাহিত্য অত্যন্ত অত্যন্ত উঁচু মানের। কিন্তু বিশ্বের কাছে সেভাবে পৌঁছাতে পারার নানান প্রতিবন্ধকতা আছে। আমরা চেষ্টা করি লিট ফেস্টের মাধ্যমে সেই সংযোগের একটা চমৎকার সুযোগ করার। এবারও আশা করি তা পেরেছি!
-সাহিত্যের বাইরে সৃজনশীল মাধ্যমের অনেকেই যুক্ত হয়েছেন এবার। ছিলো নতুনত্বও; সমসাময়িক বিষয়-আশয় আর দেশীয় শিল্পী-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণটাকে কীভাবে দেখছেন?
আহসান আকবার: লিট ফেস্টে ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষারই সেশন ছিলো। এই আয়োজনগুলো পাঠক ও সাহিত্যিকরাও পছন্দ করেন। দেশের সাহিত্যিক, শিল্পীদের অনেক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এটা খুবই অসাধারণ ব্যাপার। এবার বাংলাদেশের অনেক প্রতিভাবান শিল্পীরাও অংশ নিচ্ছেন। বিদেশ থেকে যদি বলি, তাহলে টিল্ডা সুইনটন এসেছেন। এবার নতুনত্ব হলো, শিশুদের আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। তাদের জন্য বেশ কিছু সেশন ছিলো। যার মধ্যে পাপেট শো, গল্প বলার সেশন, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি।
- প্রতিবার এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও এ বছর ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ছাড়া সবার জন্য তিন ক্যাটাগরিতে টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছেন; এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকটা কীভাবে দেখেন?
কাজী আনিস আহমেদ: যে কোনো উদ্যোগেরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রভাবই থাকে। তাই বলে উদ্যোগকে থেকে থাকলে চলবে না। হে ফেস্টিভ্যাল যখন শুরু হয়েছিল, তখনও অনেকে সমালোচনা করেছেন। যে কোনো সমালোচনার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আর টিকিট ব্যবস্থায় যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ঢাকা লিট ফেস্টকে টেকসই করা। লিট ফেস্ট এতদিন করপোরেট স্পন্সরশিপ ও কিছুটা সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর করে চলেছে। অনেকে কিন্তু এই নির্ভরতার সমালোচনা করেছেন। আমরা মনে করি কোনও এক ধরনের উৎসের বদলে একাধিক সমানুপাতিক অর্থ সংকলনের উপায় আয়োজনটিকে আরও টেকসই করবে। এছাগা একটা আদর্শের ব্যাপারও আছে। পাঠক শ্রোতারা টিকেট কাটার মধ্য দিয়ে লেখকদের সম্মানী প্রদানে সাহায্য করবেন। আমরা আশাবাদী যে লেখকদের এই সম্মান দেখাতে পারার বিষয়টি অধিকাংশ সাহিত্যানুরাগীই ইতিবাচকভাবে দেখবেন। এটাই আন্তর্জাতিক রীতি। বিশ্বের প্রায় সব বড় ফেস্টিভালেই টিকেট কেটে ঢুকতে হয়। আমরা মনে করি আমাদের পাঠক শ্রোতারা সেই মানদণ্ডে চলতে প্রস্তুত।
- তরুণরা সব সময়ই পরিবর্তনের পক্ষে। তাছাড়া এখন তারা অনলাইনের বদৌলতে সহজেই পড়তে পারছে বিশ্বসাহিত্য। এই আয়োজনে এসে তারা খুঁজে পাচ্ছে প্রিয় লেখকদের। পেয়েছিল ভি এস নাইপল আর আদোনিসদের। এবার সেই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়েছেন ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখক আবদুলরাজাক গুরনাহ, অমিতাভ ঘোষ, নুরুদ্দিন ফারাহ ও ২০২২ সালের বুকার পুরস্কার প্রাপ্ত শেহান কারুনাতিলাকা ও গীতাঞ্জলি শ্রীদের। এসব লেখকদের অংশগ্রহণটাকে কীভাবে দেখছেন?
সাদাফ সায্: এবার সবচাইতে বড় আকর্ষণ আবদুলরাজাক গুরনাহ। তিনি ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখক। নোবেল পাওয়ার পর তিনি এই প্রথম এমন কোন অনুষ্ঠানে এলেন। আসলে আমাদের মেধার পরিচয় বিশ্বকে দিতে চাই এই উৎসবের মাধ্যমে। আমরা অবশ্যই আমাদের মেধাবী শিল্পী ও সাহিত্যিকদের এবং তাদের কাজগুলোকে সীমানার বাইরে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে দেশের বাইরে লেখকদের সঙ্গে তরুণদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর এটিই এই আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। তাছাড়া আমরা নিয়মিত বাংলাদেশি সাহিত্যিকদের বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ করে আসছি।
- লিট ফেস্ট নিয়ে আগামীর পরিকল্পনা কী?
আহসান আকবার: বাংলা ভাষায় এত বিশাল কাজ হয়ে গেছে, এত বড় বড় সাহিত্যিক তাদের কিংবন্তিতুল্য সৃষ্টি রেখে গেছেন; তাহলে কেন শুধু একটি বৈশ্বিক যোগাযোগের অভাবে আমরা পিছিয়ে থাকব! বাংলাদেশের সমসাময়িক লেখকরাই বা কেন 'বাংলাদেশি লেখক' হিসেবে বিশ্বসাহিত্য-জগতে যথাযোগ্যভাবে দাঁড়াতে পারবে না! ১৫টি দেশের দুই শতাধিক আলোচক, শিল্পী-সাহিত্যিক, প্রকাশক এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। ভবিষ্যতে বিশ্বের নানা অঞ্চলের সাহিত্যিকদের সঙ্গে এ আদান-প্রদান অব্যাহত থাকবে।
সামনে বছরব্যাপী সারাদেশে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজনের চিন্তা আছে।
শিশুদের নিয়ে আরও বিচিত্র আয়োজন করতে চাই। তাদের আরও বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। দশ বছরের এ আয়োজন আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছে। আগের চেয়ে ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছি। দর্শক-শ্রোতারা কী চাচ্ছেন, কোন কোন বিষয় তারা বেশি পছন্দ করেছেন-এসব বুঝে নিয়ে সে অনুযায়ী আমরাও আয়োজন সাজাতে চেষ্টা করবো। আর এ পদ্ধতি আয়োজনকে শক্তিশালী করে তুলবে বলে আমরা আশাবাদী।
- আপনাদের ধন্যবাদ।
কাজী আনিস আহমেদ, আহসান আকবার ও সাদাফ সায্: কালের খেয়ার পাঠক এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন