দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার তিন দিনের মধ্যেই স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজীবের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সাত সদস্যের সমন্বয় কমিটির পাঁচজনকে না জানিয়েই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি নেতাকর্মীর। এই কমিটি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি সংবাদ প্রকাশিত হলে তৃণমূলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাতজনের সমন্বয়ে পুনরায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।

দুই যুগের অধিক সময় পর গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। তখন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়টি পদে কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। একই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, নবনির্বাচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সাতজনের একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার। এই কমিটির খবর প্রকাশিত হয় গত ২৩ জানুয়ারি। অভিযোগ ওঠে দলের অনেক ত্যাগী নেতাকে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়নি। এর পর দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচজন সভাপতি মু. রুহুল আমিনের কাছে 'সমন্বয়হীনতার' অভিযোগ দেন। এতে রোশন আলী মাস্টারকে কমিটি প্রকাশ না করতে মৌখিক নির্দেশ দেন তিনি। তবে নির্দেশ অমান্য করে কমিটির সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে তৃণমূলে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি গড়ায় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে। সেখান থেকে নির্দেশ আসে কমিটি স্থগিত করার।

দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার আগে শুধু আমার নয়, এমপিসহ ৭ সদস্যের মধ্যে ৫ সদস্যের সঙ্গে কোনো সমন্বয় করা হয়নি।'

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের দাবি, জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদিত কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়ার পর এভাবে কেউ বাদ দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে সবাই ত্যাগী।