শব্দদূষণ নীরব ঘাতক। এতে পথচারী ও সড়কে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ১১ দশমিক ৮ শতাংশ সদস্যের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশের অন্যদের কথা শুনতে কষ্ট হয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে পরিবেশ অধিদফতরের শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান স্ট্যামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা) বেগম ফারহানা মুস্তারীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. সোহেল রানা, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চিফ কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. এম এ বাকি, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ; স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. আমজাদ হোসেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্পের মাঠ সমন্বয়ক মো. নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী।

মো. সোহেল রানা বলেন, যানবাহনের সৃষ্ট শব্দদূষণের প্রত্যক্ষ শিকার ট্রাফিক পুলিশ ও পথচারীরা। দূষণরোধে যানবাহন এবং নির্মাণ কাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

ফারহানা মুস্তারী বলেন, এলাকাভিত্তিক শব্দের মান মেনে চলার মাধ্যম দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এটি বাস্তবায়নে আমরা জনমত গড়ে তুলতে প্রচার এবং মোবাইল কোর্টর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া, দুটোই করেছি। সামগ্রিক বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

ডা. এম এ বাকি বলেন, শব্দদূষণ কানের সমস্যার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্টের রক্তনালী ব্লক, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল বাড়াতেও প্রভাব রাখে। জনস্বাস্থ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জনসচেতনতার জন্য আরও অধিকতরভাবে গণমাধ্যমে প্রচার করা উচিত এবং জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে শব্দদূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে।